ঘরের মাঠে ইংলিশ পরীক্ষায় ব্যর্থ ও পেনার লিটন দাসের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ জাতীয় দলের এই তারকা ওপেনার। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে লিটন ফেরেন ৭, ০ ও ০ রানে। জাতীয় দলের একজন সিনিয়র ব্যাটসম্যান যদি একটি সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ হন, তাহলে একটি দলের পারফরম্যান্স যে কতোটা খারাপ, তার আর বলার অপেক্ষা রাখে না!
মিরপুরে প্রথম ম্যাচে ক্রিস ওকসের বলে মিড উইকেট দিয়ে দারুণ একটি ছক্কা মেরেছিলেন লিটন। ঠিক পরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাত্র ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সেই ম্যাচে ২০৯ রান করে বাংলাদেশ হারে ৩ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন ফেরেন শূন্য রানে। সেই ম্যাচে ৩২৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম বলেই স্কয়ার ড্রাইভের মতো খেলেন লিটন।
কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিক সংযোগ হয়নি। সহজ ক্যাচ নেন পয়েন্টে দাঁড়ানো জেসন রয়। যা ছিল লিটনের ক্যারিয়ারের প্রথম ‘গোল্ডেন’ ডাক। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ১৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে। আজ সোমবার চট্টগ্রামে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে লিটন ফেরেন শূন্য রানে। স্যাম কারানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি অনায়াসেই ছেড়ে দিতে পারতেন লিটন। কিন্তু তার ভাবনায় হয়তো ভিন্ন কিছুই ছিল। শরীরের অনেক দূর থেকে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন জস বাটলারের গ্লাভসে।
লিটন ওয়ানডেতে এর চেয়ে বাজে সিরিজ কাটিয়েছেন ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে। সেই সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে লিটন করেছিলেন স্রেফ ৩ রান। ওই সিরিজে তিন ম্যাচের প্রতিটিতে ১ রান করে আউট হন তিনি। নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচে ১৬ বল খেলেন লিটন। এবার তিনি খেলতে পেরেছেন ১৯ বল। আর কোনো সিরিজে ২০ বলের কম খেলেননি লিটন।
এই নিয়ে টানা দুটি সিরিজে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলেন লিটন। আগের সিরিজে ভারতের বিপক্ষেও কোনো ফিফটি ছিল না তার। ওই সিরিজে ৩ ম্যাচ মিলিয়ে রান করেছিলেন ৭৭।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি লিটনের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালও। তিন ম্যাচে তার স্কোর ২৩, ৩৫ ও ১১। দুই ওপেনারের টানা ব্যর্থতায় ভুগতে হয়েছে দলকেও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন