স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলবদল কার্যক্রম পিছিয়ে যাওয়ায় দারুণ ক্ষুব্ধ ফুটবলাররা। কিন্তু এ বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ তারা। তাদের বক্তব্য নানা অযুহাতে দলবদল পেছানো হলেও খেলোয়াড়রা কিছু বলতে পারেন না। যদি বলেন, তাহলে তা নাকি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বিরুদ্ধে বলা হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের অধিনায়ক ও আসন্ন মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনীতে নাম লেখানো মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘দলবদল পেছানো হয়েছে, এ বাপারে আমাদের কিছুই বলার নেই। কারণ আমরা কিছু বলতে গেলে তা বাফুফের বিরুদ্ধে বলা হয়। ফলশ্রæতিতে আমাদের উপর নেমে আসে কোন না কোন শাস্তির খড়গ। যা কোনভাবেই আমাদের কাম্য নয়।’
বৃহস্পতিবার পেশাদার ফুটবল লিগ কমিটির সভায় প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের সময় বাড়িয়ে তা স্থানীয় ফুটবলারদের জন্য ২০ এবং বিদেশীদের জন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। দলবদল পেছানোর অজুহাত দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের চ্যাম্পিয়ন উত্তর বারিধারা ও রানার্সআপ আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের অনুরোধ।
গত ফুটবল মৌসুম শেষ হয়েছে ছয়মাস আগে। ২২ আগষ্ট শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে গেল মৌসুমের খেলা শেষ হয়েছিল। এরপর ঘরোয়া ফুটবল মাঠে গড়ানোর কার্যক্রমে আসে কচ্ছপ গতি। যে দলবদল তিনমাস আগে হওয়ার কথা ছিল, তা ঠিক রাখতে পারেনি বাফুফে। ২৮ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত দলবদলের দিনক্ষণ নির্ধারণ হলেও সময়সীমা আবার বাড়িয়েছে তারা। মামুনুল আরো বলেন,‘আমরা খেলোয়াড়রা খেলতে চাই এবং ফুটবল মাঠে দেখতে চই। তবে আমার মনে হয়, শেখ জামাল এবং আরও দুয়েকটি ক্লাবের কারণেই দলবদল পেছানো হয়েছে। ঘরোয়া ফুটবলের জন্য এটা ভালো না খারাপ আমরা কিছুই বলতে পারবো না। এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন বাফুফের সাধারণ সম্পদাক ও লিগে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তবে এতটুকু বলতে পারি, লিগ যত তাড়াতাড়ি শুরু হবে, ততই খেলোয়াড়দের জন্য মঙ্গলজনক।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন