সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

কোচ হাতুরুসিংহের পক্ষই নিলেন সুজন

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : নিউজিল্যান্ড সফরে চলছে কথার পিঠে কথা।  সিনিয়ররা যথাযথ দায়িত্ব নিচ্ছেন না, ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে কোচ হাতুরুসিংহের এই মন্তব্যের জবাব মিডিয়ায় দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে সিরিজের শেষ দু’টি ম্যাচে লেগ স্পিনার তানবীরের অনুজ্জ্বল পারফরমেন্সে ( দুই ম্যাচে ৫ রান, উইকেট শূন্য)  এই ক্রিকেটারকে একাদশে রাখায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ভাবনায় তানবীরকে এখন থেকে তৈরি করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন হাতুরুসিংহে। এদিকে তানবীরকে দলে নেয়ার পক্ষে যখন ওকালতি করছেন স্বয়ং কোচ, তখন নানামুখী তীর থেকে কোচকে রক্ষা করতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দল এবং একাদশ নির্বাচনে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি এবং সহ-অধিনায়ক সাকিবের বিশেষ ভূমিকা এবং তানবীরকে দলে নির্বাচনে তাদের পছন্দের কথা মিডিয়ায় খোলাখুলিভাবে জানিয়েছেন। বিসিবি সভাপতির এমন মন্তব্যে সিনিয়র ক্রিকেটাররা বিস্মিত হয়েছেন বলে সিরিজ কভার করা এক অনলাইন জানিয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে টানা বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে নিউজিল্যান্ড সফর থেকে বিরত থাকা খালেদ মেহমুদ সুজনের অনুপস্থিতিটা এবার ভোগাচ্ছে বেশ। দলকে একতাবদ্ধ রাখতে পারছে না তার বিকল্পরা। তবে হাতুরুসিংহের একক ক্ষমতা প্রয়োগে সাবেকরা যখন মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা করছেন, তখন সেই সব ক্রিকেট বিশ্লেষকদের এক হাত নিয়েছেন বিসিবির এই পরিচালকÑ ‘আমাদের সাবেক ক্রিকেটাররা দল নিয়ে অনেক কথা বলেছে। কোচ নিয়েও নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য এসেছে। চন্ডিকার (হাথুরুসিংহে) কোয়ালিটি নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলে সে বোকার রাজ্যে বাস করছে। চন্ডিকা দারুণ একজন কোচ।  উনি জানেন কখন কী করতে হবে। তার  পরিকল্পনাগুলো অসাধারণ। আমাদের জাতিগত একটা স্বভাব আছে, আমরা যখন ভালো অবস্থানে থাকি, তখন মুখ লুকিয়ে ফেলি, কথা বলি না। বাংলাদেশ যখন হারে তখন খুঁজে বের করি কিভাবে দলটাকে টেনে নিচে নামানো যায়। কাকে কেন খেলানো হয়েছে, এটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। আমি  যেহেতু এখন দলের বাইরে, তাই এটা আমারও দায়িত্ব নয়।  যৌক্তিক সমালোচনা হলে ভালো হয়।’
ক্রিকেটাররা নানামুখি চাপের মধ্যে পড়ে স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছে না বলে মনে করছেন সুজনÑ ‘ভয়ডরহীন ক্রিকেট আমরা খেলতে পারিনি। শারীরিক ভাষা দেখে মনে হয়েছে চাপে আছে খেলোয়াড়রা। হারলে চাপ থাকেই, সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হলে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে হবে। সেরা দলটাই খেলেছে। সমস্যা হচ্ছে আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে আমরা ২-১-এ সিরিজ জিততে পারতাম।’
দুঃসময়ে ক্রিকেটারদের পাশে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তিনিÑ ‘এখনো আমাদের দু’টি টি-২০ আছে, টেস্ট সিরিজ আছে। আশাকরি ছেলেরা ফর্মে ফিরবে।  সত্যিই যদি আমরা বাংলাদেশ দলের ভালো চাই, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনুসরণ করি; তাহলে অবশ্যই দলের বিপদের সময় পাশে থাকা উচিত।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন