স্টাফ রিপোর্টার : উচ্ছেদ না করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে হকার পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন। অন্যথায় এই বেআইনি হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থায় যেতে পারি। গতকাল শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে হকার ব্যবস্থাপনায় করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
হকার্স ইউনিয়নের আহŸায়ক আবুল হাশেম কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, শ্রমিক নেতা আবুল হাশেম, গত নির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী আব্দুল আল কাফি রতন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, শরীফুজ্জামান শরীফ ও জসিম উদ্দিদ প্রমুখ।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, প্রতিবেশী দেশে হকার্সদের নিয়ে আইন তৈরি করা হয়েছে। আমাদের দেশেও এটা না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের ওপর জুলুম বন্ধ করতে হবে। আমেরিকাতেও হকার আছে। তবে, সেখানে একটি নিয়মের মধ্যে। আমাদের বেশিরভাগ জনগণ হকার্স মার্কেট থেকে কেনাকাটা করে। অল্প কিছু ব্যক্তি কেবল সুপার মার্কেটে যায়।
কাফি রতন বলেন, শহর ক্লিনের নামে হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ দেশ নিম্ন আয়ের দেশ। তাই হকারদের উচ্ছেদ না করে কিভাবে শহর ক্লিন করা যায়, সেটা চিন্তা করতে হবে। হকার বাদ দিয়ে ঢাকা ক্লিন করা উচিত নয়। তাই হকাররা যে ১০ দফা দিয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তিনি বলেন, দিনে তো দিচ্ছেই না, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পরও হকারদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না।
এ শহর মেয়রের নিজের নয়। তাই আলোচনা করতে হবে হকাররা ফুটপাতের কত অংশ ব্যবহার করবেন। আর কত অংশ জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উচ্ছেদ করে কখনো এ বিষয়ের সমাধান হবে না। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। আবুল হাশেম বলেন, উচ্ছেদে মানবিক বিপর্যয় ঘটায়। এই ঢাকা শহরে ১৫ জন এমপি ও ১০০ কাউন্সিলর আছে। কিন্তু মেয়র কারও সঙ্গে আলোচনা না করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা বেআইনি। আমরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছি। আমরা আইনি ব্যবস্থায় যেতে পারি। তিনি বলেন, আলোচনায় আসেন। আমরা এখনি আইনি লড়াইয়ে নামছি না।
গত ১৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় বলেছিলেন হকারদের পুনর্বাসন করতে হলিডে মার্কেট করতে। আর মেয়র উচ্ছেদ করছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের লঙ্ঘন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন