বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাহিত্য

চেতনায় দীপ্ত নক্ষত্রবাড়ি ১

| প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সৈয়দ মো. মোতাহার হোসেন

দৃষ্টির প্রদ্বীপ জ্বেলে...
চেতনার রঙে রাঙা ধরিত্রী।
পার্থিব জগৎ থেকে অপার্থিব জীবনের ছন্দের স্বরলিপি
অনুভূতির ঐশীধামে মিলনের তীর্থভূমি।
অন্ধকার ভেদ করে আলোর দীপ্ত নক্ষত্রবাড়ি...।
জড়ের যুক্ততা প্রাণের চিন্ময় চৈতন্যে
অচেতন মৃত্যুপুরী ডিঙ্গিয়ে চেতনার বসতবাড়ি
অণুর বিশ্বে পরমাণুর অচ্ছেদ্য সেতুর বন্ধনী।
শূন্যের মাঝে পরিব্যাপ্ত মহাপ্রাণের বলয়।
ধ্যানের অখ-লোকে...
ছায়াপথ দিগন্তে...
এক অনন্য দেবী ‘অদিতি’।

ক্ষমা করো
মুস্তাক মুহাম্মদ

ক্ষমা করো অতিথি পাখি! আমাকে ক্ষমা করো!
সুদূর হিমদেশ থেকে এসেছো অতিথি হয়ে
হাওর-বাঁওড়ের দেশÑ এই ব-দ্বীপে।
মৌসুম শেষে সহনীয় বাতাস পেলে আবার
হাজার মাইল পাড়ি দেবে নিজ দেশেÑ
স্মৃতির পালক রবে পড়ে ।
বেশিদিন নয় আগামী শীতে আবার পাবো দেখা
এমন প্রত্যাশায়।
হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে
নিরাপদ আশ্রয় ভেবে আশ্রয় নিলে এই দ্বীপে
যেখানে তোমার পূর্ব পুরুষেরা আতিথ্য গ্রহণ করতো
সে বন্ধন ছিলো মায়াময়।
লূতের সময় কোরআনের সুমধুর সুরে মোহিত হয়ে মাছ আসতো
কিন্তু নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও সেই কওমরা ফাঁদে ফেলতো মাছ
দেখেছি তাদের পতন। আমার পতন দেখবে আগামী!
হে অতিথি জীবন বাঁচাতে এসে গ্রাসে পরিণত হচ্ছো।
হাওর-বাঁওড় রক্ষা করতে পারছি না।
সেটাও কথা ছিলো। কিন্তু আমার জিহ্বা বড় বেশি বেড়ে গেছে
সাপের মত চকচক করছে। জীবনের চেয়ে রোস্টের দাম বেশি ।
আভিজাত্যর ছোঁয়া লেগেছে পাখির রোস্ট আর তন্দুর রুটিতে।
আমি রক্ষক হয়ে ভক্ষক।
আমাকে ক্ষমা করোÑ হে অতিথি! আমাকে ক্ষমা করো!

মাটির শহর
মিসির হাছনাইন

আধুনিক শহরের
মানুষগুলো মাটির
নন্দনতত্ত্বে গাছের পাখিরা আনন্দিত
নৃবিজ্ঞান ঘুমন্ত
কাক ডাকে সুউচ্চ বিলবোর্ডে
শহর কথা বলে বোবা মুখে
এদিকে ওদিকে মাটির ফসিল
এই শহর গাঁ মাটির শহর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন