নাটোর জেলা সংবাদদাতা : চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ সড়কের পাকাকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার দুর্গম নিলামপুর গ্রাম হতে তাজপুর বাজার পর্যন্ত পাকা সড়ক নির্মাণ কাজে মাটি ও আর্বজনা মেশানো ও নি¤œমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে। এ ছাড়া ভরাট বালির সঙ্গে মেশানো হচ্ছে মাটি। উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সিংড়া উপজেলা গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দুর্গম নিলামপুর গ্রাম হতে হাট-তাজপুর বাজার পর্যন্ত (নিলামপুর গ্রাম হতে সারদানগর গ্রাম রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্প) ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৫ টাকা চুক্তি মূল্যে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণের কাজ পান নাটোর শহরের লালবাজার এলাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশন। শনিবার সরোজমিনে ওই দুর্গম গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়নের জন্য স্তুপাকারে রাখা খোয়া ময়লা আবর্জনা পরিপূর্ণ ও নিম্মমানের। ঠিকাদারের নিয়োজিত শ্রমিকরা ভরাট বালির পরিবর্তে মাটি মেশানো বালি এবং খড় ও আবর্জনায় ভরা ইটের খোয়া নির্মাণাধীন রাস্তায় ফেলছে। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর এলাকাবাসীদের দোষারোপ করে তড়িঘরি করে আবর্জনা ভর্তি খোয়া বালি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। ঠিকাদারের প্রতিনিধি ওহিদুল হক রাস্তা নির্মাণ কাজের উপকরণে আবর্জনা মেশানোর জন্য স্থানীয়দের দোষারোপ করে বলেন, সামান্য খোয়াতেই শুধু আবর্জনা রয়েছে। যা ইতোমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে। এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের তদারককারী দুই সহকারীকে প্রশ্ন করা হলে, তারা কোনো সন্তোষজনক উত্তর না দিয়ে দ্রæত ওই স্থান ত্যাগ করেন। শ্রমিকরা জানান, আমাদের কি বা করার আছে? উপজেলার তদারকি অফিসাররাই তো কাজের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন করে না? স্থানীয় মুদি দোকানী শহিদুল ইসলাম ও কৃষক রমজান আলী জানান, এতো নিম্নমানের কাজ হচ্ছে যে, রাস্তা দুই দিনও টিকবো না। আর আমরাতো গরিব মানুষ, আমাদের কথা কে বা শোনে। প্রতিবাদ করলে ভয় ভীতি দেখানো হয়। দুর্ভোগ কমাতে আমরা রাস্তা চাই। তা যেভাবেই হোকনা কেন। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, এই রাস্তা চলনবিলের সিংড়া ছাড়া আত্রাই-সারদানগর এলাকার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা। কাজের মান এতই খারাপ আমরা বললেও কর্ণপাত করে না ঠিকাদারের লোকজন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক সুজিত কুমার সরকার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে মালামাল নিয়ে যাওয়া কষ্টকর। উপজেলা প্রকৌশলী হৃদয় চন্দ্র দাস বলেন, এই গ্রামীণ সড়কের কাজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ইতোপূর্বেও ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু মালামাল ফেরত পাঠানো হয়েছে। আবার
অনিয়ম হলে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন