সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বোদায় মসুর ডাল চাষ বিলুপ্তির পথে

| প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোঃ লিহাজ উদ্দীন মানিক, বোদা (পঞ্চগড়) থেকে : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে মসুর জাতীয় ডালের আবাদ। এক সময় বোদা উপজেলাসহ পুরো জেলায় ব্যাপকভাবে মসুর ডালের আবাদ হলেও বর্তমানে নতুন নতুন ফসলের আবাদ শুরু হওয়ায় এবং সেই সাথে কৃষি বিভাগের উদাসিনতাসহ নানা প্রতিকূলতায় বর্তমানে এ মসুর ডালের আবাদ কমে গেছে। অনেকে মনে করেন এই মসুর ডালের আবাদ যেন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কৃষকরা আর এই মসুর ডালের আবাদ করতে চায় না বলে অনেক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে। এক সময় পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ব্যাপকভাবে এই ডালের আবাদ হতো। সে সময় উৎপাদিত ডাল এলাকার মানুষের চাহিদা পূরণ করেও বিপুল পরিমাণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হত। সেই সময় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার  ব্যবসায়ীরা এসে বোদা উপজেলার বিভিন্ন বাজার থেকে ডাল ক্রয় করে নিয়ে যেতেন। ৩০ বছর আগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপনের ফলে সেচ সুবিধার উন্নতি ঘটলে নতুন ফসল হিসাবে ব্যাপকভাবে গম, বাদাম, মরিচ ও ইরি-বোরো ধানের আবাদে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় সেদিকে ঝুঁকে পড়েন। এছাড়া বছর দশেক আগে ভূট্টাসহ নানা ধরনের হাইব্রিড ফসলের আবাদ শুরু হলে মসুর ডাল আবাদে ভাটা পড়তে শুরু করে যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফলে এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই এ অঞ্চল থেকে মসুর ডাল চাষ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বর্তমানে এলাকায় ডালের চাহিদা মেটাতে পুরোপুরি আমদানি নিভর হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে মসুর ডালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হেক্টর, মাসকালাই ৭০ হেক্টর ও মুগ কালাই ৪০ হেক্টর। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন-অর-রশিদ বলেন, মূলত কৃষকরা যে ফসলে বেশি লাভবান হন সে ফসলেরই আবাদ করেন। বর্তমানে কৃষকরা গম, আলু ও ভূট্টার আবাদ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন। আর এ আবাদে ঝুঁকিও কম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন