সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

চন্দনাইশে শিম ক্ষেতে অজ্ঞাত রোগ

| প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে এম. এ মোহসিন : চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের শিম চাষি আছহাব মিয়া হতাশায় প্রহর গুণছে। পৌর এলাকার দুর্লভ ও চৌধুরী পাড়া হয়ে আবদুল বাড়ি হাটের দিকে বয়ে যাওয়া রাস্তার গ্রামীণ টাওয়ারের সম্মুখে আছহাব মিয়া তার কৃষি জমিতে অধিক লাভের আশায় শিম ক্ষেত করেন। তার শিমের বপনের শুরু থেকে পরিচর্যা করে আসছিল। ঠিক শিম ধরার মুহূর্তে অজানা রোগে তার সম্পূর্ণ শিম ক্ষেত দিন দিন মরে যায়। এমতাবস্থায় চাষি আছহাব মিয়া তার বুক ভাঙা কান্না নিয়ে এ প্রতিবেদকে জানান, চন্দনাইশে আনাছে-কানাছে শীত কালিন সবজিসহ বিভিন্ন রবি শষ্যের মধ্যে শিম ক্ষেতের ফলন হয় বেশি। এ আশায় সে তার উক্ত এক কানি জমিতে শিম ক্ষেত করেন। বর্তমানে চাষাবাদে শ্রমিকের  দৈনিক মুজুরি খরচ দিতে হয় ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা, অপর দিকে বিভিন্ন সার ওষুধ প্রয়োগসহ তার এ শিম ক্ষেতে ৪০ হাজার টাকার উর্ধ্বে খরচ হয়। তিনি বিভিন্ন দিক থেকে কর্য নিয়ে শিম ক্ষেত করেন । শিমের ফুল আসার মুহূর্তে তার শিম ক্ষেত অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্রমর্শেঃ জ্বলে পুড়ে মরে যায়। ফলে তিনি এখন নিরুপায় হয়ে তার ক্ষেতের দিকে থাকিয়ে বুক ভাঙা কান্না নিয়ে হতাশায় প্রহর গুণছে। তিনি আগামীতে কৃষি কাজের চাষাবাদে এগিয়ে যেতে সম্বলহীন হয়ে পড়েন। তাছাড়া চাষাবাদে উৎসাহ হারিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে কয়েকজন শিম চাষির সাথে আলাপ কালে তারা জানান, তাদের শিম ক্ষেতের ফলন ভাল হয়েছে। পরিচর্যার মধ্যে কোন ভুল অথবা অজ্ঞাত রোগে চাষি আছহাব মিয়ার শিম ক্ষেতের এ র্দূরাস্থা হতে পারে। এ ব্যাপারে চাষি মোহাম্মদ হারুন জানান, চন্দনাইশ রবি শষ্যসহ চাষাবাদের জন্য দক্ষিণ চট্টগ্রামের খ্যাত এলাকা। এখান থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন মৌসুমী সবজি দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্রে রপ্তানি হয়। এ অবস্থায় এখানকার কৃষকদেরকে সরকারি ভাবে বিভিন্ন রবি শষ্য ও চাষাবাদের উৎপাদনের উপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ সহজ শর্তে চাষিরা ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করা হলে চাষিরা প্রতি মৌসুমে আরো অধিক আশানুরুপ ফলনে সাফল্য বয়ে আনবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন