স্পোর্টস ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির সর্বোচ্চ সাফল্য শেষ ষোল। সেই অর্জনটাও গত দুই মৌসুমে। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে দু’বারই তাঁদের মুখোমুখি হতে হয় সময়ের অন্যতম সেরা দল বার্সেলোনার। দু’বারই হেরে বিদায় নিতে হয় ইংলিশ ক্লাবটির। কিন্তু এবার মনে হয় কোয়ার্টার ফাইনালের পথের সেই গেঁরো খুলতে যাচ্ছে তাঁরা। শেষ আটের প্রথম লেগে ইউক্রেনিয়ান ক্লাব ডায়নামো কিয়েভের মাঠে ৩-১ গোলের জয় সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছে আকাশি-নীলদের।
ম্যানুয়েল পেল্লেগিনির দল এই স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল মূলত তখন থেকেই যখন নক-আউট পর্বে তাঁরা প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় ১৭ বছর পর এই পর্বে পা রাখা ডায়নামো কিয়েভকে। সেই স্বপ্নে হয়তো একটু ধাক্কা লেগেছিলÑপ্রতিপক্ষের মাঠে হাজির হওয়ায় আগে সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা তিন পরাজয়ের কারণে। কিন্তু সেটা সামলে নিতে সফরকারীরা কিয়েভের মাঠে সময় নিলেন মাত্র ১৫ মিনিট। ইয়াইয়া তোরের হেড থেকে উড়ে আসা বল বুকে নিয়ে মাপা শটে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন সার্জিও আগুয়েরো। আসরের ১৭ ম্যাচে এটি ১৬তম গোল আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের, মৌসুমের ১৯তম। বিরতির আগে তাঁর সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ডেভিড সিলভা। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৯তম মিনিটে অবশ্য একটি গোল শোধ দেয় কিয়েভ। তবে তাতে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও ছিল। ভিতালি বুয়ালাস্কির জোরালো শট সিটি ডিফেন্ডার নিকোলাস অটেমেন্ডির গায়ে লেগে গোলরক্ষক জো হার্টকে বিভ্রান্ত করে বল জালে জড়িয়ে যায়। এর খানিক আগে ও পরে দুর্দান্তভাবে দলকে রক্ষা করেছিলেন হার্ট। একবারে শেষ সময়ে তোরের গোল কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন আরো জোরালো করে সিটি।
জয়ের সুযোগটা অবশ্য দু’দলেরই ছিল সমান। বল দখল ও গোলমুখি শটেও ছিল দু’দলের মধ্যে প্রায় সমতা। কিন্তু স্ট্রাইকার ব্যর্থতায় সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি কিয়েভ। সেটার কারণও ব্যাখ্যা করলেন দলের কোচ সার্জেই রেভরভÑ ‘মূলত আমরা খেলেছি ইউরোপের অন্যতম সেরা একটা দলের বিপক্ষে। খেলোয়াড়রাও কিছুটা নার্ভাস ছিল, এটা তাদের জন্য শেষ ষোলর প্রথম ম্যাচ। ম্যানসিটি যখন প্রথম গোলটা করল তখনই আমরা ভড়কে যাই।’ পক্ষান্তরে সিটি কোচ এই জয়ে খুশি হলেও ঘরের মাঠে তার দল সাবধান থাকবে বলেই জানান দেনÑ ‘দুই গোলে এগিয়ে থাকাটা ভালোই কিন্তু এটা এখনো শেষ হয়ে যায়নি।’ রাতের আরেক ম্যাচে ফেভারিট তকমা নিয়েই নেদারল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিল ২০১৪’র রানার-আপ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। কিন্তু পিএসভি ইন্দোভেনের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করে ফিরেছে ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। শেষ ২২ মিনিট ১০ জনের দল পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি স্প্যানিশ দলটি। ২০০৮ সালের পর শেষ ষোলয় পা রাখা পিএসভি অবশ্য খুশি এই ফলে। তার প্রমাণও মিলল কোচ ফিলিপ কোকুর কণ্ঠেÑ ‘আমি এই ফলে খুশি। আমি আগেই চেয়েছিলাম প্রথম লেগে যদি কোন গোল না হত; তাহলে দ্বিতীয় লেগে আমাদের ভালো একটা সুযোগ থাকবে।’ খুশি অ্যাটলেটিকো কোচ সিমিওনেও। আগামী ১৫ মার্চ দ্বিতীয় লেগের খেলায় ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেনÑ ‘গোল আসবেই। তারা কঠিন প্রতিপক্ষ। দ্বিতীয় লেগের খেলা আমাদের মাঠে হওয়ায় আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। একটাই বিষয় আমরা গোলের সুযোগ মিস করেছি।’
এক নজরে ফল
ডায়নামো কিয়েভ ১-৩ ম্যানসিটি
পিএসভি ০-০ অ্যাট. মাদ্রিদ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন