স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরের মাঠে ভালো খেলার প্রেরণা তো ছিলই। সাথে স্বতীর্থদের কাছ থেকেও ছিল পূর্ণ সহযোগিতা। সেই সুবাদে কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কক্সবাজারেরই ছেলে মোমিনুল হকের পূর্বাঞ্চল। মোমিনুলের শতক, তাসামুল হক ৮৭ এবং জাকির হোসেনের অপরাজিত ৯২ রানের সুবাদে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮৩ রানের লিড নিয়েছে তারা, হাতে আছে ৫ উইকেট।
মোমিনুলের ব্যাটিংয়ের ধরনটাও ছিল ঠিক ওয়ানডে ধাঁচের। ১১৮ বলের মোকাবেলায় ১৫টি চার ও একটি ছ’য়ে ১১২ রান করেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এটি তাঁর দশম শতক। দক্ষিণাঞ্চলের ২৬২ রানের জবাবে ৩৩ রানেই ইমতিয়াজ ও লিটন দাশকে হারিয়ে বসে পূর্বাঞ্চল। সেখান থেকে তাসামুলের সাথে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৫৬ রান যোগ করেন মোমিনুল। অর্ধশতক করেন মাত্র ৪১ বলে। মোমিনুলের বিদায়ের পর কোন রান না করেই ফেরেন অলক কাপালিও। এরপর জাকিরকে নিয়ে তাসামুল গড়েন ৯৯ রানের জুটি। সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দুরত্বে তাসামুল ফিরে গেলেও ইয়াসির আলীকে (২০*) সাথে নিয়ে সেঞ্চুরির পথেই আছেন জাকির। ১২৯ বলে ৯টি চার ও ৩ ছক্কায় ৯২ রানে অপরাজিত আছেন অনূর্ধ্ব ১৯ দলের এই খেলোয়াড়। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৪৫।
স্টেডিয়ামে যখন মোমিনুলরা ব্যাটিং শৈলী দেখাতে ব্যস্ত, ঠিক একই সময় পাশের একাডেমির মাঠে তখন উত্তরাঞ্চেল প্রাণপন লড়ছে মধ্যাঞ্চলের মোহাম্মাদ শরীফ ও মোশাররাফ হোসেনদের বিলুদ্ধে। কিন্তু এই দু’জনের বোলিং তোপে দাঁড়াতে পারেনি উত্তরের ব্যাসম্যানরা। দু’জনে নিয়েছে যথাক্রমে ৪ ও ৩টি করে উইকেট। মাত্র ৬৫.১ ওভারে ১৬৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া উত্তরাঞ্চেলের ইনিংসে ব্যতিক্রম ছিল শুধু অধিনায়ক নাঈম ইসলামের ব্যাট। ৬১ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে জাতীয় দলের আরেক সাবেক ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিকের ব্যাট থেকে। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ধীর ব্যাটিং শুরু করে মধ্যাঞ্চল। দিন শেষে ১৫ ওভারে রনি তালুকদারের উইকেটটি হারিয়ে তাদেও সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩ রান। প্রথম ইনিংসে ২৬০ রান করায় দিন শেষে তারা লিড নিয়েছে ১১৫ রানের, হাতে রয়েছে ৯ উইকেট।
সংক্ষপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল-ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল
প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল : ৭৮.১ ওভারে ২৬২ (তুষার ৭৮, মোসাদ্দেক ৬৫, আবু জায়েদ ৪/৬২, সাজ্জাদ ৩/৬৭); ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল : ৯৬ ওভারে ৩৪৫/৫ মোমিনুল ১১২, জাকির ৯২*, তাসামুল ৮৭, রাজ্জাক ২/১৪১)। দ্বিতীয় দিন শেষে পূর্বাঞ্চল ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ৮৩ রানে এগিয়ে।
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল-বিসিবি উত্তরাঞ্চল
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল : ৮৫.৪ ওভারে ২৬০ ও ১৫ ওভারে ২৩/১ (মার্শাল আয়ুব ১২*, তাইজুল ১/২); বিসিবি উত্তরাঞ্চল : ৬৫.১ ওভারে ১৬৮ (নাঈম ৬১, শরীফ ৪/৫৯, মোশাররাফ ৩/৫৫)। দ্বিতীয় দিন শেষে মধ্যাঞ্চল ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ১১৫ রানে এগিয়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন