স্পোর্টস ডেস্ক : নকআউট পর্বের প্রথম লেগে এক রাতে এত গোল আগে কখনো দেখিনি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। দুই ম্যাচ মিলে ১৪ গোল! বেয়ার লেভারকুসেনের মাঠে ৪-২ গোলের জয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের শেষ আট এক প্রকার নিশ্চিত হলেও ম্যাচের আবহ আদতে এমন একপেশে ছিল না। নাভিশ্বাস ছুটে গেছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির নিজেদের মাঠে ৫-৩ গোলের জয় পেতেও। ‘মৌসুম সেরা ফুটবল’ ম্যাচে মোনাকোর বিপক্ষে দুইবার পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা, দুইবারই দলকে পথ দেখান নিয়মিত একাদশে বারবার উপেক্ষিত আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রেইম স্টার্লিংয়ের গোলে অবশ্য শুরুতে এগিয়ে যায় আকাশি-নীলরাই। তবে রাদামেল ফ্যালকাও ও কিলিয়ান বাপের গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতি থেকে ফিরেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে মোনাকো। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলেই ফরাসি দলের পক্ষে স্কোরলাইন হয়ে যেত ৩-১! সেক্ষেত্রে গার্দিওলার দলের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হতো। এরপর চলল আগুয়েরো-ফ্যালকাও-এর গোল আর পাল্টা গোলের থ্রিলার। স্টার্লিংয়ের বাড়ানো বলে আগুয়েরো স্কোর বোর্ডে সমতা আনার তিন মিনিটের মাথায় পেনাল্টি মিসের খেসারত দিয়ে দলকে আবারো এগিয়ে নেন ফ্যালকাও। ১০ মিনিট বাদে আগুয়েরোর গোলে আবারো সমতায় ফেরে গার্দিওলার দল। ১০ হলুদ কার্ডের ম্যাচে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের মহোৎসবে প্রকৃতপক্ষে এগিয়ে ছিল সফরকারীরাই। ভয়ঙ্কর সব আক্রমণে তারা স্বাগতিক দর্শকদের বুকে কাঁপুনি ধরালেও মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে জন স্টোনস ও লেরই সানের গোলে শেষ হাসি হাসে সিটি সমর্থকরাই। কোচের ভাষায় হতাশা থাকলেও প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে তিন গোলের সুবিধা নিয়ে ফেরা কিন্তু কম ব্যাপার নয়। নিজেদের মাঠে দুই গোলের ব্যবধানে জিতলেই পুরো হিসাব পাল্টে যাবে। তবে একটা পরিসংখ্যানে চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন সিটি সমর্থকরা। কোচিং ক্যারিয়ারে চ্যাম্পিয়েন্স লিগ থেকে সেমিফাইনালের আগে কখনো বিদায় নেননি গার্দিওলা।
জার্মান প্রতিপক্ষের মাঠে অ্যাটলেটিকো ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর তারা কি ভেবেছিল হঠাৎ স্বাগতিকরা তাদের ঘাড়ে এভাবে অস্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। সাউল নিগুয়েজ ও অঁতোয়ান গ্রিজম্যানের গোলে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল ডিয়েগো সিমিওনের দল। বিরতি থেকে ফিরেই করিম বেলার্ডির গোলে ব্যবধান কমায় লেভারকুসেন। এরপর পেনাল্টি থেকে গামেইরো ব্যবধান বাড়ালেও অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার স্টেফেন সাভিকের আত্মঘাতি গোলে ব্যবধান হয়ে যায় ২-৩। শেষ দিকে গেলবারের রানার-আপদের দুশ্চিন্তা মুক্ত করেন ফার্নান্ডো তোরেস। তার মানে অ্যাটলেটিকোর মাঠে লেভারকুসেনকে এখন জিততে হবে তিন গোলের ব্যবধানে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন