কক্সবাজার অফিস : হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহেশখালীর চিহিৃত সন্ত্রাসী ফেরদৌস বাহিনীকে মহেশখালী থানা পুলিশের সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগে ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মহেশখালী হোয়ানক কেরুনতলীর কৃষিবিদ সল্ট লিঃ এর সিইও মরিয়ম আক্তার লিখিত এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় হাইকোর্টের ইনজাংশন অর্ডারকে তোয়াক্কা না করে পুলিশ উমখালী ও হেতালীয় প্রজেক্টের নিরীহ লবণচাষিদের ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে তাদের ভীতসন্ত্রস্ত করে ঘর-বাড়ি ছাড়া করছে। ওই সুযোগে ওই প্রজেক্টের উৎপাদিত ৮০-৯০ লক্ষ টাকার লবণ সন্ত্রাসী বাহিনীকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মহেশখালী থানায় যোগদান করার পর থেকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার মো. ফেরদৌস ও মোস্তফা কামালের সাথে একাধিক রুদ্ধদার বৈঠক করে নিরীহ লবণ চাষিদের নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। জানাগেছে ওই প্রজেক্টে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও পুলিশ সন্ত্রাসীদের পক্ষে নিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। এই সুযোগে ওই সন্ত্রাসীবাহিনী প্রায় এক কোটি টাকার লবণ লুটপাট করে নিয়ে গেলেও পুলিশ কর্তৃক উল্টো লবণ চাষিদের হয়রানি করা হচ্ছে জানাগেছে। লবণচাষি আনু মিয়া ও আজিজ এবং রাজুয়ার ঘোণা এলাকা থেকে লবণভর্তি ট্রাক থেকে আরো ৬ লবণশ্রমিককেও আটক করে পুলিশ মোটা অংকের টাকা আদায় করে বলে জানাগেছে।
ওই সন্ত্রাসীবাহিনী থেকে মোটা অংকে টাকা নিয়ে পুলিশ গত ১৪ ফেব্রæয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেতালিয়া প্রজেক্টের লবণচাষি মো. আব্দুস সাত্তারকে ধরে পাহাড়ে নিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করে বলে অভিযোগ করা হয়।
এছাড়াও গত ১৮ ফেব্রæয়ারি থেকে ওই সন্ত্রাসীবাহিনীর লোকেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুলিশের উপস্থিতিতেই হেতালিয়া প্রজেক্টে থেকে লবণ লুট করতে থাকলেও পুলিশ লবণ অবৈধ অস্ত্রধারী ডাকাতদের বাধা না দিয়ে তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে বলে মরিয়ম অক্তারের লিখিত অভিযেগে উল্লেখ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন