বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও দিক নির্দেশনায় মাদরাসা শিক্ষার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে-আল্লামা শাব্বির আহমদ মোমতাজী

| প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সোনাকান্দা সংবাদদাতা : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছা ও দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষায় অনেক আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের কোন আরবি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না মহান আল্লাহ পাকের মেহেরবানিতে তা হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষার আলাদা কারিকুলাম হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দুর হয়েছে। এদেশে প্রায় তিনশ’র মতো কামিল মাদরাসা রয়েছে। দাখিল, আলিম ও ফাজিল মাদরাসা রয়েছে দশ হাজারের মতো এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা রয়েছে প্রায় সাত হাজার। এসব মাদরাসায় প্রায় তিন লক্ষ শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে প্রায় ৭০ লক্ষাধিক। তাদের সকলের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদরাসা শিক্ষার প্রতি আন্তরিকতা ও স্বদিচ্ছার অন্যতম বহিঃপ্রকাশ হল এ দেশে স্বতন্ত্র আরবি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকরন। গেল কয়েক যুগ যাবৎ অন্যরা যা করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী এদেশবাসীকে তাই করে দেখিয়ে দিলেন। আর এসব সম্ভব হয়েছে এদেশের পীর মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরামগণের পরম শ্রদ্ধেয় অলিয়ে কামেল দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ মাওলানা এম.এ. মান্নান (রহ.)’র রেখে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্ম ও অবদান সমুহের কারণে এবং তারই উত্তরসূরী দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীনের সুযোগ্য নেতৃত্বে। তার অভিভাবকত্বে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সবসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আন্তরিক সম্পর্ক ও সমন্বয় রক্ষা করে যাচ্ছে। সোমবার রাতে সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব মাহফিল-২০১৭’র দ্বিতীয় দিনের বিশাল জন সমাবেশে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব আলহাজ মাওলানা অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সোনাকান্দার সাথে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সম্পর্ক অতিগভীর। সংগঠনের সম্মানিত সভাপতি আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন সোনাকান্দায় বেশ কয়েকবার এসেছেন। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাথে সংশ্লিষ্ট আমরা সবাই এই হাক্কানী দরবারের সাথে জড়িত আছি। তিনি বলেন, একটি কুচক্রি মহল ইসলামের নাম ব্যবহার করে সমাজে অশান্তি-অরাজকতা সৃষ্টি করছে। শান্তির ধর্ম ইসলামকে তারা কলুষিত করছে। তাদের ব্যাপারে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।
দরবারের পীর সাহেব আলহাজ মাওলানা মাহমুদুর রহমান আল্লামা মোমতাজীকে দরবারে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি, মহাসচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Nur- Muhammad ১ মার্চ, ২০১৭, ৯:৪৪ এএম says : 0
১৯৭৮ সালে আমি যখন দ্বেবিদার সুজাত আলী কলেজে ইনটারমেডিয়েট ক্লাশে পড়ি তখন মামার বাড়ী ধলাহাস গ্রামে থাকতাম। মামা আবু মূসার সাথে, এই দরবারশরীফের বার্ষিক ইছাল ছোয়াব মাহফিলে গিয়ে ছিলাম। খুবই ভাল লাগছিল। সকল শান্তির আবেশ যেন বিরাজ করছিল দরবার শরীফে। আজ মনস পাঠে সবকিছু অবলিলায় ভেসে উঠছে। আমার অন্তরে মনে হয়, আজ ও শান্তির পরশ লাগছে। এমন দীনি দরবারশরীফে সকল মোমিন মোমিনাতদের যথাসন্ভব যাওয়া উচিৎ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন