শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করতে বিডি ট্যাক্স সফটওয়ার

প্রকাশের সময় : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিডি ট্যাক্স নামক একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে আইনজীবীদের সহায়তা ছাড়াই ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন করদাতারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান ‘ডিকে টেকনোলোজি’Ñ ইলেক্ট্রনিক্যালি ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের জন্য এই সফটওয়ার তৈরি করেছে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে করদাতারা সহজেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। িি.িইউঞধী.পড়স.নফ - এই ওয়েব অ্যাড্রেসে সফটওয়ারটি পাওয়া যাবে। প্রযুক্তি ভিত্তিক এই উদ্যোগটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। করদাতাদের যেসব ঝামেলা পোহাতে হয় তা লাঘব করার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে সফটওয়ারটি। একইসঙ্গে রিটার্ন দাখিল ব্যবস্থা ডিজিটাল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারকে সহায়তা করাও এর লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিডিট্যাক্স ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জুলফিকার আলি বলেন, কাগজ ভিত্তিক নথিপত্র দাখিল করার সময়সাপেক্ষ। আর এতে সংবেদনশীল ক্লায়েন্ট তথ্য হারিয়ে যাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা চুরি যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে ডিকে টেকনোলোজি দল এ সফটওয়্যারের ধারণা নিয়ে এসেছে যেন অ্যাকাউন্টেট বা আইনজীবীর সহায়তা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ ট্যাক্স সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণ করতে পারে এবং দ্রুত, ঝামেলাবিহীন রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের সহায়তা করা যায়। জুলফিকার আলি আরও বলেন, এতে কোন আইনি সমস্যা নেই। কেননা এনবিআর ফর্মের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এটা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া পরামর্শ করা হয়েছে ট্যাক্স আইনজীবীদের সঙ্গে।
ইঞ্জিনিয়ার এস এম সাজেদুল হক বলেন, সিস্টেমের একটি সুবিধা হল আগে থেকেই নিবন্ধিত থাকার কারণে ক্লায়েন্টকে দ্বিতীয়বার ট্যাক্স নথিভুক্তিকরণ সমস্ত তথ্য পূরণ করতে হবে না। এ ছাড়া ক্লায়েন্টের ক্লাউড সার্ভারে করদাতার তথ্য সংরক্ষিত থাকায় আগের তথ্য বা ডাটা ফিরে পেতে সক্ষম হবে। ফলে আগের তথ্য সম্পর্কে জানার জন্য, ব্যবহারকারীরা সহজেই ট্যাক্স পরিমাণ, অথবা অন্য কিছু সম্পর্কে তার তথ্য দেখতে পারবেন। এছাড়া ডাটা রিকভারি সিস্টেম নিশ্চিত থাকায় এবং ক্লায়েন্ট যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় তাদের ফরম পূরণ করতে সক্ষম হবেন।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০১৫ সালের অক্টোবরে সফটওয়্যারটি চালু হয়। ইতিমধ্যে ১০টি ‘ল’ ফার্ম এবং ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি এটি ব্যবহার করছেন। তারা সফটওয়্যার ব্যবহার করে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়েছেন এবং এনবিআর তাদের জমাকৃত ফরম গ্রহণ করেছেন। ব্যবহারকারী সৈয়দ হাসান বলেন, সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ফর্ম পূরণ করি। কারণ অনেক সময় ক্যাকুলেটর ব্যবহারের প্রযোজন পড়ে, সেটা এই সাইটেই স্বংয়ক্রিয়ভাবে করা যায়, কাগজ ভিত্তিক ফরমে সম্ভব হয় না।
প্রধানমন্ত্রী হরতাল-অবরোধে ক্ষতিগ্রস্থ মালিক-শ্রমিকদের ৬০ কোটি টাকা দিয়েছেন-প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১৫ মার্চ এর মধ্যে দেশের সড়ক ও মহাসড়কের অবৈধ দখলদাররা স্ব-উদ্যোগে সরে না গেলে পরবর্তীতে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির কার্যকরী পরিষদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সমিতির সভাপতি, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সংগঠনের নেতা কবির উদ্দিন, রুস্তম আলী খাঁন, আলী আকবর, মো. মমতাজ উদ্দিন, মনজুরুল আলম, গোলাম রসুল প্রমুখ।
সেতুমন্ত্রী বলেন বর্তমান সরকার আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যাত্রী সাধারণের নির্বিঘœ চলাচল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ককে চার লেন করণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস নির্মাণসহ যুগান্তকারী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভাগীয় পর্যায়ে পরিবহন শ্রমিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ ও কাউন্সিলিং এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ব্যাপারে পরিবহন মালিক সমিতিকে সরকারের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২২টি মহাসড়ক থ্রি হুইলার ও অটোরিক্সা বন্ধ করা হলেও বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে শতকরা ১০ ভাগ অবৈধ পরিবহন চলছে, যা সমর্থন যোগ্য নয়। এতে করে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। তিনি মালিক সমিতির সদস্যদেরকে প্রতিটি গাড়ির ফিটনেস বজায় রাখাসহ সাজসজ্জার দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন।
সমিতির সভাপতি প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রায় ৬০ কোটি টাকা প্রদান করেন, যা অতীতে কোন সরকার করেনি। এটা বর্তমান সরকারের পরিবহন শিল্প বান্ধব নীতির প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে জনকল্যাণে সদা নিবেদিত হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি সড়ক পরিবহন সমিতিকে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও এলাকা এলাকায় গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এতে করে মালিক-শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত হবে। এর আগে সমিতির সদস্যগণকে প্রতিটি জেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সদস্যপদ দান, যখন তখন গাড়ি রিকুইজিশন বন্ধ ও বিভিন্ন ধরণের হয়রানি বন্ধসহ দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এসব সমাধানে সরকারের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন