অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ মূখ্যভুমিকা পালন না করলেও সামগ্রিক উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণকে কাজে লাগাতে হবে। ক্ষুদ্রঋণ বলা হলেও কখনো কখনো এ ঋণ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় না। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করে ক্ষুদ্রঋণকে তাদের একটি অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বেসরকারি সংস্থা র্ডপ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে র্ডপ’র প্রতিষ্ঠাতা ও গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এএইচএম নোমান এ কথা বলেন। গতকাল রাজধানীর শেওড়াপাড়াস্থ র্ডপ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংস্থার ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের এরিয়া ম্যানেজার, শাখা ব্যবস্থাপক, হিসাব রক্ষক-কাম অফিস ম্যানেজারদের দুইদিন ব্যাপী সয়ংক্রিয় হিসাব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির পুনঃ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে এএইচএম নোমান আরো বলেন, পিকেএসএফ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ছাড়াও দারিদ্র্য বিমোচনে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়নে পিকেএসএফ এর ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির পরিধি আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারি বেসরকারি সংগঠনগুলোকে এক সাথে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জনঅংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারকে পাবলিক পূয়র প্রাইভেট পার্টনারশীপের (পিপিপিপি) মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে হবে। সরকারের সামজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় র্ডপ প্রবর্তিত ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ ও ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি করে এক প্রজন্ম ২০ বছর মেয়াদে বাস্তবায়ন করে দেশকে সম্পূর্ণরূপে দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব। এএইচএম নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, র্ডপ ম্যানেজার প্রশাসন মো. হায়দার আলী খান, উন্নয়ন গবেষক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ম্যানেজার অপারেশন শেখ নূর ইসলাম, পরামর্শক মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন