ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার হস্তচালিত নলক‚প অচল হয়ে পড়েছে। এতে শৈলকুপ পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নে খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত নলক‚পে পানি উঠছে না। পাশাপাশি অনেক অগভীর নলক‚প (শ্যালো মেশিন) দিয়েও পানি উঠছে না। ফলে সেচ দেয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে শুষ্ক মৌসুমে গড়াই নদী শুকিয়ে যায়। এর ফলে গড়াই তীরবর্তী সারুটিয়া, হাকিমপুর ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে এই ক্ষরা মৌসুমে ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। ফলে হস্তচালিত নলক‚প অচল হয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয় খাবার পানির সঙ্কট। এ বছর ওই তিন ইউনিয়নের সাথে কাঁচেরকোল, মনোহরপুর, বগুড়া, আবাইপুর, নিত্যানন্দপুর, উমেদপুর ও পৌরসভা এলাকায় ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর থেকে ‘তারা পাম্প’ স্থাপনের উপদেশ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ‘তারা পাম্প’ স্থাপন ব্যয় বহুল। সাধারণ গৃহস্থের পক্ষে তা সম্ভব নয়। অনেকে ‘মিনি তারা পাম্প’ বসিয়ে পানি সঙ্কট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছেন। আবার কোনো কোনো স্থানে ‘মিনি তারা পাম্পেও’ পানি উঠছে না।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের শৈলকুপার সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ বলেন, অক্টোবর মাস থেকে বৃষ্টি হয় না। ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর ২০ ফুটের নিচে নেমে গেলে হস্তচালিত নলক‚পে পানি উঠে না। এখন পানির স্তর ৩০-৩৫ ফুট নীচে নেমে গেছে। এতে খাবার পানির সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন