শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

রকিবুল-তানভীরে মধ্যাঞ্চলের রান পাহাড়

প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : রাকিবুল হাসানের ব্যাটে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বড় সংগ্রহের আভাস পাওয়া গিয়েছিল প্রথম দিনেই। জাতীয় দলের এই সাবেক অপরাজিত ছিলেন ১১৯ রানে। গতকাল চা বিরতির আগে যখন থামলেন নামের পাশে তখন ২২৮ রানের ঈর্ষণীয় এক ইনিংস। তার সাথে যোগ্য সঙ্গী হিসেবে ছিলেন তানভির হাইদার। এদিন তানভির তুলে নেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। আগের দিন হেসেছিল মার্শাল আয়ুবের ব্যাটও। প্রথম ইনিংস শেষে তাদের মধ্যাঞ্চলও তাই রানের চূড়োয়। ৮ উইকেটে ৫৮৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা।
রাকিবুলের দ্বিশতক অবশ্য এটি নতুন নয়। এর আগে অপরাজিত ৩১৩ রানের ইনিসও লেখা আছে তার রেকর্ড পাতায়। ৩২১ রান ও হাতে ৬ উইকেট নিয়ে গতকাল ব্যাটিং শুরু করেছিল রাকিবুলের মধ্যাঞ্চল। সাথে ছিলেন তানভির। দু’জনেই এদিন খেলেন চা বিরতির আগ পর্যন্ত, গড়েন ২৪০ রানের জুটি। ৩৩৮ বলের মোকাবেলায় রাকিবুলের ইনিংসে ছিল ১৯টি চার ও দু’টি ছক্কার মার। ৬ চার ও এক ছক্কায় সাজানো ১৬৯ বলে তানভিরের ১১০ রানের ইনিংসটি। রাহাতুল ফেরদৌস নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট, কিন্তু এজন্য তাকে খরচ করতে হয়েছে ২২৪ রান। জবাবে এক রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের হয়ে প্রতিরোধ গড়েছিল কক্সবাজারেরই ছেলে মোমিনুল হকের ব্যাট। কিন্তু দিনের শেষ দিকে ৯২ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পর অধিনায়কের বিদায়ে কিছুটা চাপে উত্তরাঞ্চল। ১৪২ রান ও হাতে ৮ উইকেট নিয়ে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আজ আবার ব্যাট করতে নামবে তারা।
পাশের একাডেমির মাঠে প্রথম ইনিংসে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের ২৯৬ রানের জবাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। দিন শেষে ৪ উইকেটে তারা তুলেছে ২৪৭ রান। ইনিংসটিতে ব্যক্তিগত কোন শতক না থাকলেও অর্ধশতক আছে ৩টি। উদ্বোধনী জুটিতেই ১১৮ রান তুলে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিতের পথে ৭০ রান করে আউট হন আনামুল হক। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস আউট হন ৫২ রান করে। দিন শেষে ৬০ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন যশোরের ছেলে তুষার ইমরান ও ১২ রান নিয়ে তৈবুর রহমান। সাকলাইন সজিব ও সানজামুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট। এর আগে ২৬৬ রান ও হাতে ২ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা উত্তরাঞ্চল তিনশ প্রায় স্কোর দাঁড় করায় মুলত মুক্তার আলীর কল্যাণে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৬০ রানের খরচায় ৩ উইকেট নেন সোহাগ গাজী।

স ং ক্ষি প্ত স্কো র
ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল-ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল : ৫৮৮/৮ (রাকিবুল ২২৮, তাভির ১১০, মার্শাল ৮১, জাবিদ ৪৭, ফেরদৌস ৩/২২৪, সাইফুদ্দিন ২/১০০); ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল : ১৪২/২  (মোমিনুল ৮৯, ইমতিয়াজ ৩৭*, শরীফ ১/২৮, শুভাগত ১/৪৭)
প্রাইম ব্যাংক দক্ষিনাঞ্চল-বিসিবি উত্তরাঞ্চল
বিসিবি উত্তরাঞ্চল : ২৯৬/৮ (মুক্তার ৬৪, নাঈম ৪৮, আরিফুল ৪৩, সোহাগ ৩/৬০, তৈবুর ২/৩২); প্রাইম ব্যাংক দক্ষিনাঞ্চল : ২৪৭/৪ (আনামুল ৭০, নাফিস ৫২, তুষার ৬০*, সানজামুল ২/৬৪, সাকলাইন ২/৬৬)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন