স্টাফ রিপোর্টার : ওয়াসাকে ব্যর্থ সংস্থা অভিহিত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, সংস্থাটির কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ছে। নগরীতে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। খাল দখল হচ্ছে। আর এর দায় আসছে আমাদের ওপর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে নানা সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ৫৬টি সংস্থা আছে। এদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে আমাদেরকে বেশ পরিমাণ বেগ পেতে হয়। এমন কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলো সমাধান আমাদের সরাসরি এখতিয়ারে নেই। কিন্তু নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জনগণ আমাদের কাছে আশা করে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ঢাকা শহরে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিরসনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। নির্বাচিত মেয়র সত্তে¡ও বলতে বাধ্য হচ্ছি, ঢাকা ওয়াসা একটি ব্যর্থ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত।
মেয়র প্রশ্ন রেখে বলেন, ঢাকা শহরের এই সমস্যা নিরসনে কি হাজার হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে? এর জন্য শুধু প্রয়োজন ঢাকা ওয়াসার মনোযোগ। তারা যদি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং মনোযোগী হয় তাহলে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব। কিন্তু তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
মেয়র বলেন, ঢাকা শহরের অনেক ওয়ার্ডে পানি থাকে না। যেখানে পানি যায় সেখানে আবার দুর্গন্ধযুক্ত পানি যায়। এসব সমস্যা নিয়ে ঢাকা ওয়াসাকে বললে তারা বলে বরাদ্দ নেই। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। হয় ঢাকা ওয়াসাকে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে একীভূত করতে হবে, না হয় ওয়াসার নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাইকেল লেন নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে মেয়র বলেন, পর্যায়ক্রমে সব সড়কে এই সাইকেল লেন হবে।
ঢাকা উৎসবের যৌথ আয়োজক ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল প্রমুখ।
এর আগে গত সোমবার রাজধানীর শান্তিনগরে বৃষ্টি পরবর্তী অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ডিএসসিসির উন্নয়ন কাজের ফলে গত বছরের চেয়ে এ বছর পানিবদ্ধতা অনেক কম। পুরো কাজ বাস্তবায়ন হলে এ চিত্র থাকবে না। আগামী আগস্টের মধ্যে পানিবদ্ধতার চিত্র একেবারেই থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, শান্তিনগরে চলতি বর্ষা মৌসুমে ৮৫ ভাগ পানিবদ্ধতা কমেছে। চলতি বছরের জুন ও জুলাইয়ের মধ্যে শান্তিনগরের ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এরপর আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন