স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম (এ কে) ফজলুল হকের ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৭৩ সালে ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন আলোচনা সভা, মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকালে মরহুমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। প্রথিতযশার বাঙালি এই রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের নিকট শেরে বাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন, উপমহাদেশের এক অসাধারণ প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ। তিনি কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-১৯৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদ আজ সকাল ৮টায় মরহুমের মাজার চত্বরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইফ আ স ম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট ইউসূফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিস সিদ্দিক প্রমুখ। জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ মরহুমের মাজার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এছাড়া বরিশাল বিভাগ সমিতি এ উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
শের-ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা
শের-ই বাংলা মরহুম এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশ এবং জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
গতকাল বুধবার এক শোকবাণীতে তিনি বলেন, শের-ই বাংলা এ কে ফজলুল হক দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
রাজনীতি, সমাজ, শিক্ষা, কৃষিসহ দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে তার অবদান তুলে ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রজাস্বত্ব আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তিনি ভূমির ওপর এদেশের কৃষক সমাজের অধিকার আদায়ে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেন।
শের-ই বাংলা ফজলুল হককে অনন্য প্রতিভার অধিকারী অভিহিত করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদানের কথা এদেশের মানুষের মন থেকে কোনোদিনই বিস্মৃত হবে না। শের-ই বাংলা একে ফজলুল হকের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপি প্রধান।
অপর এক বাণীতে শের-ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে শের-ই বাংলা একে ফজলুল হকের অবদানের কথা কোনোদিনই ভুলবার নয়। তিনি ছিলেন বহুগুণে গুণান্বিত অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী একজন মহান ব্যক্তিত্ব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধিকার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে তিনি এদেশের মানুষকে যে দীক্ষা দিয়েছিলেন সেটির পথ ধরে চলতে গিয়েই আমরা বিশ্বদরবারে এখন সাহসী জাতি হিসেবে বিবেচিত। দেশ এবং জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন