শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

জেলেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর -মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী  ছায়েদুল হক বলেছেন, মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থ স্থান অর্জন করেছে। যা বর্তমান সরকারের এক বিরাট সফলতা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আইনের মাধ্যমে জেলেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর। ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য জেলেদের জাটকা মাছ না ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার জেলেদের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছে।
“জাটকা মাছ বাড়তে দিন, ফিরবে মোদের সোনালি দিন” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদ চত্বরে সম্প্রতি জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০১৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেসে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুলাহ আল মামুন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, নৌ-পুলিশের ডিআইজি মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, রামগতি পৌরসভার মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে রামগতির আলেকজান্ডার আদালত ঘাট থেকে একটি বর্ণাঢ্য নৌ-র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালিটি মেঘনা নদীর ৭ কিলেমিটার ঘুরে স্থানীয় গাবতলী ঘাটে শেষ হয়। র‌্যালিতে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের দুটি জাহাজসহ শতাধিক নৌকা ও স্প্রীডবোর্ডে জেলে ও সংশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাসহ সহস্্রাধিক লোক অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ একশ’ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সকল ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাত করণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। জেলায় ৩৬ হাজার ৭ শত ১২ জন জেলে রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে নদীতে জেলের সংখ্যা আরো বেশি। এসব জেলে নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। নিষেধাজ্ঞার সময় মার্চ-এপ্রিল ২ মাস ও সামনের মে-জুন দুই মাসসহ ৪ মাস পর্যন্ত প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি হারে খাদ্য সরবরাহ করা হবে। এছাড়া নগদ অর্থ দেয়া হবে তাদের। জেলেদের সচেতন করার জন্য নদী এবং উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিংসহ সব ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। এছাড়া প্রতিদিন নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন