আদায়ে নীতিমালার কাজ চলছে
স্টাফ রিপোর্টার : তামাকজাত দ্রব্যের উপর ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ’ আদায়ে নীতিমালার কাজ চলছে। খুব শিগ্রই এই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ৩১ মার্চ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার। বেশি দৃষ্টিগোচর করতে তামাক পণ্যের প্যাকেট ও কৌটার গায়ে ছবি সহ সতর্কবার্তার পরিধি বাড়ানো হবে।
২০০৪ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্র এক গবেষণার বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তামাক খাতে যেখানে সরকারের বছরে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় হয়, সেখানে তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা, অকাল মৃত্যু, পঙ্গুত্বের কারণে বছরে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এতে করে বছরে নীট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
আরও জানানো হয়, দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন বাস্তবায়নে যথেষ্ট অগ্রগতি হলেও কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে ছবি সহ সতর্কবার্তা প্রদানে বিভিন্ন তামাক কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করছে বলে গণমাধ্যমে আসছে। তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে আইন লঙ্ঘনে উৎসাহী করছে তামাক কোম্পানিগুলো। এগুলো আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করতে উদ্যোগ নেয়া হবে।
সারা বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবারের মত এবারও ৩১ মে বাংলাদেশে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হবে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘তামাক উন্নয়নের অন্তরায়’। দেশের ৬৪টি জেলায়ই দিবসটি উদযাপন করা হবে। ইতোমধ্যে সব জেলায় জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের দিবসটি উদযাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৩১ মে ঢাকায় ওসমানী মিলনায়তনে সকাল ১১টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ বিশিষ্টব্যক্তিরা বিশ¡ তামাকমুক্ত দিবসের পোস্টার উদ্বোধন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন