শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মসজিদে নববীতে উদারভাবে ইফতার আয়োজন করেন মদীনাবাসী

| প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : রমজানে মাগরিব নামাযের আগে মসজিদে নববী (সঃ)-এ পরিলক্ষিত হয় এক অপরূপ দৃশ্য। মানুষের মাঝে পরিলক্ষিত হয় ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্য এবং ভাল কাজ করার প্রতি মানুষের প্রবল আগ্রহ। এ সময় সব মুসলিম এক কাতারে শামিল হয়ে যান। আল্লাহপ্রেমী মদীনার মুসলিমরা তাদের অতিথিদের জন্য উদার ভাবে মেহমানদারী করেন। বাইরের তুলনায় মসজিদে নববীর (সঃ) ইফতার টেবিল সাজে ভিন্ন মেনুতে। এখানে থাকে খেজুর, পানি, রুটি, কফি, চা, দই এবং বাদাম। পক্ষান্তরে মসজিদের বাইরের ইফতারগুলোয় অন্য জিনিসের সাথে থাকে জুস, রাইস, গরু বা মুরগীর গোশত। বহুসংখ্যক মানুষ ইফতারে শরিক হলেও খাদ্য বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সকলের রয়েছে প্রবল দৃষ্টি। মসজিদে নববীর পাবলিক রিলেশন ডিরেক্টরেটের ডেপুটি জেনারেল সুপারভাইজার আবদুল ওয়াহিদ আল-হাত্তাব বলেন, মসজিদের নববী (সঃ)-এর একটি কমিটি মসজিদটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সকল শক্তি বিনিয়োগ করে থাকে। তিনি বলেন, এই কমিটি ২৪ ঘণ্টা যিয়ারতকারীদের গ্রহণ করে, নামাযের মুসল্লা এবং ঠান্ডা জমজম পানি বিতরণ করে। কমিটি সর্বদা যিয়ারতকারীদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখে এবং কীভাবে তাদের সেবা আরো বাড়ানো যায় সে বিষয়ে গবেষণা করে থাকে।
ইফতারের জন্য মসজিদে নববী (সঃ)-এ আসর সালাতের আধা ঘণ্টা পর থেকে ইফতার সামগ্রী গ্রহণ করা হয়। চারটি কর্ণার দিয়ে বৈধ ইফতার সামগ্রী প্রবেশ করানো হয়। আর একামাত হবার আগেই পরিচ্ছন্ন কর্মী, সুপারভাইজার ও যারা ইফতার সামগ্রী নিয়ে আসেন তারা মিলে সব উচ্ছিষ্ট সরিয়ে নেন। মসজিদের মূল চত্ত¡রের বাইরে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক স্থানে ইফতার আয়োজন করা হয়। পরে এশা ও তারাবীহ সালাতের আগেই সব উচ্ছিষ্ট মসজিদ চত্ত¡র থেকে অপসারণ করা হয়। সূত্র : আরব নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
আসিফ ৪ জুন, ২০১৭, ৩:২৭ এএম says : 0
হে আল্লাহ ওই পুণ্যভুমিতে যাওয়ার তৌফিক দান করো।
Total Reply(0)
Nur- Muhammad ৪ জুন, ২০১৭, ৪:১৪ পিএম says : 0
মহান আল্লাহর দরবারে অশেষ শোকরিয়া। আল্লাহ তালা আমাকে পবিত্র মক্কা মদিনায় ইফতার করার সুযোগ দিয়েছে। আল্লাহর রহমতে ২০১০ সালে আমি হজ্জ এবং ২০১১ সালের রমজানে ওমরা পালন করি। রমজানে নববীর ভিতর ও বাহিরে সৌহার্দ্য পরিবেশে মদিনাবাসী অতিথিপরায়নে ব্যাপকভাবে ইফতারের ব্যবস্থা করে। ইসলাম যে কত শান্তির ধর্ম, তা এই পরিবেশে মনের ভিতর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। নববীর ভিতর হালকা ও কম ওয়েষ্টেজ হয় এমন এবং বাহিরে, ফল ফ্রুট, পোলাও বিরানী সহ রুচিকর ইফতারী পরিবেশন করা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ইফতারীর পর তড়িৎ গতিতে পরিস্কার পরিচ্ছনতার পর নামাজে দাড়াতে হয়। আপনি যদি নববীর বাহিরে ইফতারীতে বসেন, তা হলে, এত ইফতারী খেয়ে শেষ করতে পারবেন না। আপনি ইফতারী গুলি নষ্ট না করে, খাওয়ার পর যা থাকে তা ছোট পলিথিন ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখুন। মাগরিবের নামজের পর হোটেলের রুমে এসে সঙ্গীদের সাথে বসে খেয়ে নিন। এতে বরকতময় ইফতাটি নষ্ট হলো না। আপনার ও ক্ষধা তৃষনতা দূর হলো। পরবর্তীতে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে, এশা ও ২০ রাকাত তারাবীর জন্য নববীতে চলে যান। কাবা তে ও ইফতারীর ব্যবস্থা আছে। তবে মদিনার মত এত ব্যাপক নয়। রমজানের শেষ ১০ দিন তারাবীর পর ৮ রকাত লাইলাতুল কেয়াম জামাতে পড়ানো নয়। এই নামাজে মনের প্রশান্তিতা বেশ বৃদ্ধি পায়। লাইলাতুল কিয়ামের কিছুক্ষন পর ই সেহরীর সময় হয়। লোকজন সেহরীর জন্য প্রস্তুতি নেয়। আল্লাহর রহমতে, ২০১৭ সালে আমি সস্ত্রী হজ্জ করার ইচ্ছা ও প্রস্তুতি নিচ্ছি। আল্লাহ যেন আমাদের এই আশা পুরন করে, তার জন্য দেশবাসী ও সকল মুসলমান ভাই বোনদের নিকট দোয়া চাচ্ছি। আমি ও পবিত্র কাবা তে দেশ ও জাতীয় র জন্য দোয়া করার কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সকল মুসলমানকে হজ্জ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন