শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

সস্তাই থাকছে তামাকজাত দ্রব্য

| প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগামী অর্থবছরের (২০১৭-১৮) প্রস্তাবিত বাজেটে উচ্চ স্তরের সিগারেট ও গুলের করের হার না বাড়ানোর কারণে তামাকজাত দ্রব্য সস্তাই থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তামাকবিরোধী কয়েকটি সংগঠন। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে তামাকবিরোধী সংগঠন ‘প্রগতির জন্য জ্ঞান’ (প্রজ্ঞা) এবং ‘অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স’র (আত্মা) উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে অর্ধেকেরও বেশি মাদক ব্যবহারকারী ধোঁয়াবিহীন তামাক (জর্দা ও গুল) সেবন করেন। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে এ সবের ওপর কর বাড়ানো হয়নি। এতে বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বেড়েছে। যা টেকসই মানবসম্পদ উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
বক্তারা বলেন, অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় আগামী তিন বছরের মধ্যে বিড়ির উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বিড়ির মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবে এর কোনো প্রতিফলন নেই। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিড়ির মূল্য প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ালেও এবার তা ৪১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেট এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে কর না বাড়ানোর প্রস্তাব চরম জনস্বাস্থ্যবিরোধী। গত এক বছরে জনগণের মাথাপিছু আয় ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতিও হয়েছে। মাথাপিছু আয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা মানে ভোক্তার কাছে এগুলো আরও সহজলভ্য হওয়া।
তারা আরও বলেন, এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে, আর বিএটিবির মতো বহুজাতিক তামাক কোম্পানি লাভবান হবে। অন্যদিকে সিগারেটের নিম্নস্তর দেশি ও আন্তর্জাতিক, দুই স্তরে বিভক্ত করায় তামাক কর-কাঠামোর জটিলতা বাড়বে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন