শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

নির্বাচিত

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পদাবলী

শ্যামল কান্তি দাশ
আমার মায়ের ভাষা

আমার ফসলগুলি সারাদিন আমার শরীর
আমার মাটির বাড়ি কাদাজলে আমার শরীর
দুদিকে গহন জল জলটুকু আমার জীবন-
আমি এই জল ছেড়ে পুলকিত প্রাণে উঠে আসি
আমার গানের ভাষা নলিছেঁড়া প্রতিবাদে লেখা
আমি এই প্রতিবাদ বুকফাটা সুরে লিখে রাখি
আমার লেখার ভাষা মেঘে রোদে আগুনে পোড়ে না
দাঁতে দাঁত, চোখে চোখ, পড়ো এই জীবনমরণ
আমার মুখের ভাষা ভেঙে যাওয়া আমার স্বদেশ
আমার বুকের ভাষা টান টান লুকানো পাঁজর
রক্তে রঙিন দিন, চার পাশে সবুজ নিশানÑ
ধোঁয়া ও বারুদ থেকে ভালোবাসা প্রাণ খুলে দেখি
আমার মায়ের ভাষা চিরদিন আমার শরীর
শরীরের লেখাগুলি দিকে দিকে তোমার আমার।

আনোয়ারুল ইসলাম
স্মৃতির খেয়া

চিরকাল এ জীবন মায়াজাল বোনে
কিন্তু যে তার পথ কণ্টকে ঘেরা
ফেরারী সময় খেলে অঘোষিত খেলা
কায়াহীন ছায়া নাচে মেঘ ভাঙা রোদে।
কিছু কথা ভালোবাসা জ্বলে বেনোজলে
তাই তো আশার গীতি বিনা তালে বাজে
অজানা চেতনা পথে ব্যথিত বিলাপ
ক্ষত বিক্ষত হয় অশরীরী বাণে।
সতত সুখের খোঁজে আয়ু পরমায়ু
নিভু নিভু হয়ে আসে প্রদীপের মতো
বিভাময় চারুকলা শকুনের ঠোঁটে
হররোজ মুছে যায় কাতর বিলাসে।
শত ভুল ফুল হয়ে বাগিচাতে হাসে
হারানো স্মৃতির খেয়া আঁখিজলে ভাসে।

রোকেয়া ইসলাম
সম্পর্কের দিন বদল

সম্পর্কের সোনালী সুতোয় বেনারসী কারুকাজ...
সময়ের বাতাসে লালিত বীজবন্ধ্যা
বন্ধ্যা বীজে নপুংশক ফসল
অফলা জমিন ক্ষীণ হতে হতে-
বিষণœ সুতোয় সন্ধানও পেয়ে যায় নীলকণ্ঠ স্মৃতি পাখি
পাঁজর গুঁড়িয়ে গেয়ে চলে নিরবধি
সেই বক ভোরবেলা নিহরে নিহরে শিউলীতলা
সারসডানা দুপুর, থমকে দাঁড়ায়
অলস দুপুরের অর্গল ভেঙ্গে দু’জনকে দু’জন চেনা
বোকা পাখিটা এটুকু বোঝে না
সেই তুমি আর এই তুমি নও
আঁটপৌরে আঁচল খুলে যেদিন যায়
সে কি আর ফিরে আসবার হয়
সম্পর্কের সুতোয় আজ নিরোদ কারু কাজ...

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন