রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

ফুটবলার নকীবের হৃৎপিন্ডের জোড়া রিং

| প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : হৃদরোগে আক্রান্ত জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীবের হৃৎপিÐে দু’টি রিং পড়ানো হয়েছে। শাহবাগস্থ ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) চিকিৎসাধীন নকীবের ইসিজি রিপোর্টে সমস্যা পাওয়ায় গতকাল বিকাল তিনটার দিকে তাঁর হৃৎপিÐের এনজিওগ্রাম করা হয়। এনজিওগ্রাম রিপোর্টে নকীবের হৃৎপিÐে দু’টি বøক পান চিকিৎসকরা। ফলে তাকে রিং পড়ানো জরুরী হয়ে পড়ে। তার পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকালেই নকীবের হৃৎপিÐে দু’টি রিং পড়ানো হয়। হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল খেলোয়াড় কল্যান সমিতির প্রধান সমন্বয়কারী মো: আবুল হোসেন জানান, ‘রিং পড়ানোর পর নকীব বর্তমানে সুস্থ আছেন। তার পাশে স্ত্রী ডা. সৈয়দা নাজলী মোস্তফা ছাড়াও পরিবারের অন্য সদস্যরা রয়েছেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।’
রোববার সন্ধ্যায় মতিঝিলস্থ সোনালি অতীত ক্লাবে ফুটবল অনুশীলনের পর হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন নকীব। পরে তার স্ত্রী ডা. সৈয়দা নাজলী মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
দেশের ফুটবলে উজ্জ্বল নক্ষত্র ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত টানা জাতীয় দলে খেলেছেন। ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে চার জাতি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ওই আসরের ফাইনালে মিয়ানমারের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২-১ গোলের জয়ে নকীবের একটি গোল ছিল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাতীয় দলের হয়ে বেশ কিছু গোল রয়েছে তাঁর। বিদেশের মাটিতে অনন্য এক রেকর্ডের অধিকারী নকীব। ১৯৯১ সালে সিউলে প্রি-অলিম্পিক বাছাইয়ে ফিলিপাইনকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সেই ম্যাচে নকীব হ্যাটট্রিকসহ একাই করেছিলেন পাঁচ গোল। এটি যেকোনো ধরনের ফুটবলে কোন বাংলাদেশী খেলোয়াড়ের গোল করার রেকর্ড। শুধু তাই নয়, ঘরোয়া ফুটবলেও গোলের সেঞ্চুরি (১০০ গোল) করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর। গোল করার কারণেই ৯০ দশকে সবার নজর কাড়েন নকীব। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি হয়ে ওঠেন দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। তাঁর হেড ছিল দুর্দান্ত।
জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় ঘরোয়া আসরে মোহামেডানে খেলেছেন নকীব। খেলেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রেও। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ফুটবল সংগঠক হিসেবে দীর্ঘদিনের প্রিয় ক্লাব মোহামেডানেই নিজেকে জড়িয়ে রাখেন তিনি। ক’বছর আগে মোহামেডান ফুটবল দলের ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেন নকীব। তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছে ঢাকা মোহামেডান, সোনালী অতীত ক্লাব ও বাংলাদেশ ফুটবল খেলোয়াড় কল্যান সমিতি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন