স্টাফ রিপোর্টার : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কখনো সহায়ক সরকার, আবার কখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলছে। আসলে বিএনপি আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির নামে সন্ত্রাসীদের মুক্তি চাইছে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসকাব মিলনায়তনে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আন্দোলনের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ আলোচনা সভার আায়োজন করে।
আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে উল্ল্যেখ করে কামরুল বলেন, বিএনপির যেসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেসব অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে কখনোই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কোনো সুযোগ নেই। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তাই কথার ধুম্রজাল সৃষ্টি না করে সংবিধান অনুযায়ী এই সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। কারণ নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের বাইরে এক চুল নড়াও সম্ভব নয়।
‘খালেদা জিয়ার সাজা হলে কেয়ামত সৃষ্টি হবে’ বিএনপি নেতাদের এমন হুমকির জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, সে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। সরকার খালেদা জিয়াকে সাজা দেবে না। যথাসময়ে বিচার শেষে আদালত তার রায় দেবে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করা হলে আইনের মাধ্যমেই তা মোকাবেলা করা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর করা ট্রাইব্যুনাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হচ্ছে। যারা বলছে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা কার হয়েছিলো, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।
সংগঠনের উপদেষ্টা সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি আব্দুল মান্নান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন