স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ ওভারে জয়ের জন্য ওমানের প্রয়োজনীয় ১৪ রানের লক্ষ্যে একমাত্র ভরসার প্রতীক হয়ে ১৪ বলে ২৮ রান নিয়ে ব্যাটে ছিলেন আমির আলী। সরেনসেনের হাত থেকে বেরুনো প্রথম বলটি আম্পায়ার যখন নো বলের সংকেত দিচ্ছেন ততক্ষণে ফাইন লেগ দিয়ে বল গড়িয়ে মাঠের বাইরে। এই একটি বলেই মূলত ম্যাচ ফসকে যায় আয়ারল্যান্ডের হাত থেকে। পরের বলে একটি লেগ বাইয়ের পর তৃতীয় বলটি বাউন্ডারি ছাড়া করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিয়ে নেয় ওমান। কিন্তু ওভারের চতুর্থ বলে আমির আউট হলে ২ বলে তিন রানের হিসাব এসে দাঁড়ায় ওমানের সামনে। এ সময় আবারো সোরেনসেন ফুলটস নো ব্যাটের কানায় লেগে উইকেট কিপারের চেখের সামনে দিয়ে বল বেরিয়ে যায় বাউন্ডারিতে। ২ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পায় ওমান।
১৫৫ রানের লক্ষ্যে উদ্বোধনী জুটিতে ওমানকে ৮.৩ ওভারে ৬৯ রানের দুর্দান্ত সুচনা এনে দেন জিসান মাকশুদ (৩৩ বলে ৩৮) ও আনোয়ার আলী (২৬ বলে ৩৪)। এরপর ২১ রানের ব্যবধানে দলের ৫ জন ব্যাটসম্যানের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় ওমান। কিন্তু আমির আলীর ১৭ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস আবারো পথ দেখায় ওমানকে।
এর আগে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। টপ অর্ডারদের ব্যাটিং শৈলিতে বড় রানের সংগ্রহের পথেই হাটছিল তারা। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করে ৪৮ রান। স্টার্রিংয়ের (২৯) পর দলীয় ৮৪ রানে আরেক ওপেনার ও দলীয় অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড (২৯) ফিরে গেলে রান তোলার গতিও হারিয়ে ফেলে আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। ওমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট ১৫৪ রানেই বেধে ফেলে আইরিশদের ইনিংস। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন উইলসন। মোনিষ আনসারি নেন ৩ উইকেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন