বিদেশে পাঠানোর কথা বলে সিলেট থেকে ঢাকায় এনে মুগদা এলাকায় এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে দালালেরা
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম রবিউল ইসলাম (৩২), পিতা রব্বুল ইসলাম। মেহেরপুরের গাংনীর জুগিরঝোপা এলাকায় তার বাড়ি। নিহত রবিউল আদম ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার এসআই মোঃ মিজানুর রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পোনে ৬ টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসআই জানান, ৭০/১ নয়া পল্টনের জোনাকি মার্কেট সংলগ্ন মসজিদের পাশের গলি থেকে রবিউলকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে সেখানকার একটি হাসপাতালে পরে ঢামেকে নিয়ে আসেন তিনি।
ঘটনাস্থল থেকে একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশে ধারণা, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
এদিকে রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে গত শনিবার ছায়েদ (৩০) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্দার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত ছায়েদের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার তেতলি । ছায়েদের ছোট ভাই শামীম আহমেদ জানান,গত শুক্রবার রাতে ছায়েদ বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন। তাকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ঢাকায় এনে আদম ব্যবসায়ী শাহীন, আশরাফ,আরোয়ার ও জসিম শনিবার দিবাগত রাতে হত্যা করে লাশ মুগদা এলাকায় ফেলে দেয়। শামীম অভিযোগ করেন, ছায়েদের কাছে ২ লাখ টাকা ছিল, সেই টাকার জন্যই তাকে দালঅলেরা হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মুগদা থানায় নিহতের ভাই শামীম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৩৪। পুলিশ জানায় হত্যাকারীদের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায়। আনোয়ার নামের একজনের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই।
মুগদা থানার ওসি এনামুল হক জানান, হত্যাকারীরা বিদেশে আদম পাচার করে। এরা ফকিরাপুল একায় আদমদের দালালি করে। বিদেশে লোক পাঠানোর জন্য তাদের কোন বৈধ লাইসেন্সও নেই।
ওসি জানান, ছায়েদকে হত্যার দায়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শামীম গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবদিকদের জানান, স্পেন পাঠানোর কথা বলে তার ভাইকে ঢাকায় নিয়ে আসে আনোয়ার, শাহীন ও আশরাফ। তাদের সাথে এর আগে ২১৩ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিল। এর আগে তাদের ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল। কথা ছিল স্পেন পাঠানোর পর বাকী টাকা দেয়া হবে। কিন্ত তার ছায়েদকে বিদেন না পাঠিয়ে গড়িমসি করছিল। সর্বশেষ শুক্রবারে আসতে বলে স্পেনে পাঠানোর জন্য। তিনি আরো জানান, গত শনিবার মুগদা থানার পুলিশ মোবাইল ফোনে জানায় হত্যাকান্ডের ঘটনা। পরে ঢাকায় এসে থানায় মামলা করেন তিনি। ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের পর গতকাল সন্ধ্যায় ছায়েদের লাশ পুলিশ হস্তান্তর করেছে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে। রাতেই তারা লাশ নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ান হয়েছেন শামীম ও তাদের স্বজনেরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন