স্টাফ রিপোর্টার : চিকিৎসার জন্য হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমেদ শফীর ভারতে যাওয়ার সমালোচনা করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গত শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের ভারত সম্পর্কে সাবধান হতে হবে। আমার প্রতিবেশী রাষ্ট্র এদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান অন্তরায়। আহমদ শফীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, যারা আল্লাহ-খোদাতে বেশি বিশ্বাস করেন, আমাদের খোদার পথে নিয়ে যেতে চান, সেই আল্লামা শফীও খোদার উপর আস্থা না রেখে ভারতীয় হাসপাতালের ওপর আস্থাশীল হয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে রওনা হয়ে গেলেন। আমাদের সমস্যা হলো এখানে।আমি তাকে বলবো খোদার প্রতি আস্থা রাখেন, উনি (খোদা) যদি না বাঁচায় ভারতীয় হাসপাতাল কি আপনাকে বাঁচাতে পারবে?
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম ৭১ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ।উল্লেখ হেফাজতের আমীর ৯৫ বছর বয়সী শাহ আহমদ শফী ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চট্টগ্রামে ফেরার ১২ দিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লী যান।
আহমদ শফীকে আল্লাহর উপর ভরসা রাখা এবং চিকিৎসার জন্য রাজনীতিকদের বিদেশে যাওয়ার সমালোচনা করে পরামর্শ দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টিপ্রখ্যাত চিকিৎক জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হামিদ সাহেবও (মহামান্য প্রেসিডেন্ট) একটু শ্বাসকষ্ট হলে বিদেশে ছোটেন, প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) কানে না শুনলে বিদেশ ছোটেন, বিরোধী দলের নেত্রী (খালেদা জিয়া) চোখে কম দেখলে বিদেশে ছোটেন। কতদিন আমরা বিদেশি ভরসায় থাকব?
দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বিদেশিদের ‘ভরসায় থাকেন’ উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধের এই অন্যতম সংগঠক বলেন, দেখবেন, রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা সব সময় অন্যের ভরসায় থাকতে চাই। আমি বলতে চাই, এগুলো বাদ দিতে হবে। শক্তি জনগণ, আপনারা। বিরোধী দলকে (বিএনপি) ভারত সম্পর্কে তাদের মনোভাব পরিষ্কার করতে হবে। কাশ্মিরের মুসলমানদের প্রতি ভারত সরকারের আচরণেরও কঠোর সমালোচনা করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
সভায় বক্তারা বলেন, আল্লামা শফী চিকিৎসার জন্য তার দুই পুত্র ও নাতিকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দিল্লি গেলেন। অথচ তাকে সউদী আরব বা মালয়েশিয়া নিজ খরচে নেয়ার জন্য বহু ভক্ত ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তাছাড়া এই সময় হেফাজতে ইসলাম ও মুফতি আমিনী সমর্থিত ইসলামী ঐক্যজোটের কিছু নেতাও দিল্লি সফরে গিয়েছেন। স্বৈরাচারি এরশাদের পাশাপাশি দিল্লি থেকে হেফাজত ও ঐক্যজোটের নেতারা কি কোন আশীর্বাদ বা ভবিষ্যদ্বাণী আনতে গিয়েছেন কি না জাতি তা জানতে চায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন