হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে চির বিদায় জানাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তৌহিদি জনতার ঢল নেমেছে। শোর্কাত লাখো মানুষের ভিড় সেখানে।
সকাল থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের নানা প্রান্ত থেকে শত শত মানুষ ছুটে আসে হাটহাজারীতে। হাটহাজারীমুখি সব সড়কে শোকার্ত মানুষের ¯্রােত। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে মানুষের স্্েরাত।
পরিস্থিতি সামাল দিতে হাটহাজারী সদরের সব সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব পুলিশের সাথে কাজ করছেন মাদরাসার ছাত্ররা। নানা শ্রেণি পেশা আর বয়সের মানুষের ভিড়ে টালমটাল হাটহাজারী। দোকান পাট বন্ধ হয়েছে। সর্বত্র শোকের ছায়া।
আল্লামা শফীর কফিন শনিবার সকালে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় এসে পৌঁছে। রাজধানী ঢাকা থেকে ভোর চারটায় রওনা হয়ে শোকার্ত মানুষের ভিড় ঠেলে দীর্ঘ পথ ফাঁড়ি দিয়ে দেশের সর্বজন শ্রদ্বেয় এ আলেমে দ্বীনের কফিন সকাল ৯টায় হাটহাজারীতে প্রবেশ করতেই শোকার্ত মানুষের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে হাটহাজারীর আকাশ। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। হাজারো মানুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শুক্রবার রাত থেকে হাজারো মানুষ অপেক্ষায় ছিলো তাকে শেষ বারের মতো দেখতে।
বাদ জোহর (দুপুর ২টায়) হাটহাজারী মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে নামাজে জানাযা। পরে মাদরাসার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তাকে শেষ বিদায় জানাতে লাখো মানুষ এখন হাটহাজারীতে।
শুরা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাটহাজারী মাদরাসায় জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করতে মাদরাসা শুরা কমিটি ও প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
জানাজা শেষে মাদরাসা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নাস্তিক মুরতাদ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা দেশের কওমি শিক্ষার কিংবদন্তি এ আলেমের ইন্তেকালে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন