শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

এখনও উত্তাপ লাগেনি চট্টগ্রামে

প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : সাগর পাহাড় ঘেরা অপরূপ সৌন্দর্যমÐিত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। শহরের জহুর আহমদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়াম ও এম এ আজিজ স্টেডিয়াম- এই দুই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর। আগামীকাল থেকে বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ শুরু হচ্ছে এবং ২৭ থেকে শুরু হবে ট্রফি ম্যাচ। বাংলাদেশ ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিজি, জিম্বাবুয়ে, ইংল্যান্ড, নামিবিয়া এর মধ্যে খেলাগুলো এখানে অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে তিনটি এবং জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ২০০৪ সালে প্রথমবারের মত আয়োজিত যুব বিশ্বকাপে জড়িত ছিল চট্টগ্রামের নাম। এবারেও চট্টগ্রাম থাকছে ভেন্যুর তালিকায়। শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ নয়, ২০১১ সালে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চট্টগ্রাম ছিল ভেন্যুর তালিকায়। এছাড়া এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারপরও এ স্টেডিয়ামের মাঠ, উইকেট, ড্রেসিং রুমসহ সবকিছুই একেবারে প্রস্তুত। বিশ্বকাপকে বরণ করতে কোন ঘাটতি নেই বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ী ভেন্যু এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। ২০০১ সালে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ৮২তম টেস্ট ভেন্যু পাওয়ার পর ঐ বছর ১৫ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল। এ ভেন্যুতে ২০০৫ সালে জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের মুখ দেখেছিল। এই এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পাওয়ায় এ মাঠকে স্বর্ণ দিয়ে মুড়িয়ে রাখার কথা। কিন্তু কেউ তা করেনি।
অপরদিকে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। কয়েকদিন আগেও সেখানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মধ্যেকার দুটি ম্যাচ। কাজেই জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন নেই। সেইসাথে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামও একেবারে প্রস্তুত। এত সবকিছু প্রস্তুত থাকার পরও অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে নেই কোন প্রচারণা। ক্রিকেট পাগল চট্টগ্রামের দর্শকরা জানেন না এখানে কি হচ্ছে। তবে অন্যান্য সব বিশ্বকাপের তুলনায় এ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে একটু বেশি। আর সেই আলোচনার প্রধান ইস্যু হচ্ছে নিরাপত্তা। আইসিসি বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট থাকলেও অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে আসছে না। তারপরও চট্টগ্রামে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো নিয়ে নিরাপত্তার ব্যাপারে কোন শিথিলতা দেখাতে রাজি নয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যেহেতু খেলা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, আইসিসি কর্মকর্তা মিলে প্রচুর বিদেশী অবস্থান করবে চট্টগ্রামে। কাজেই সেই সময়ে নিরাপত্তার ব্যাপারে শতভাগ সজাগ থাকতে হবে সবাইকে। তাছাড়া অংশ নিতে আসা সবকটি দল থাকবে হোটেল র‌্যাডিসন বøুতে। একই ছাতার নিচে এর আগে কখনও এতগুলো দল থাকেনি। যার ফলে নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছুটা কম ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন