বিশেষ সংবাদদাতা : খুলনায় যতবার এসেছেন, ততবারই ছুটে গেছেন এই শিষ্যের বাসায় হোয়াটমোর। হোয়াটমোরের মাল্টি স্কিলড তত্তে¡র প্রথম আবিস্কার বাঁ হাতি স্পিন অল রাউন্ডার মানজারুল রানা। বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের নায়ক মানজারুল রানা নেই বেঁচে। মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাই হারিয়েছেন ২০০৭ সালের মার্চে। টেস্ট ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া মানজারুল রানা’র বাড়ি শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের বাউন্ডারি ঘেঁষে। সেটাই যেনো বড্ড বেশি আবেগি করে তুলেছে গতকাল হোয়াটমোরকে। ২০০৬ সালে খুলনায় খেলতে এসে প্রিয় শিষ্যের আমন্ত্রণ রক্ষা করেছেন, এখন সেই বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মানজারুলের স্মৃতিচিহ্ন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচের ক্রেস্ট, ডামি চেক, আরো কতো কিছু। জার্সি নম্বর ৯৬টিও সযতেœ রেখে দিয়েছেন মানজারুলের মা। গতকাল মানজারুল রানার বাসায় এসব স্মৃতিচিহ্ন দেখেছেন, মানজারুলের কবরের খুব কাছেও গেছেন তিনি। এসব দেখে মানজারুলের ছবিই ভেসে উঠেছে তার চোখে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেনÑ ‘রানা আমার জন্য বিশেষ কিছু ছিল। এখানে আসলে ওকে খুব মনে পড়ে। তাই খুলনায় এলে এখানে না এসে পারি না। তিন ডিপার্টমেন্টেই দারুন খেলতো সে। ড্রেসিং রুম মাতিয়ে রাখতো সব সময়। হাসিটা ছিল অসম্ভব সুন্দর।’ ছেলের শোকে কাতর হয়ে বাবা চলে গেলেন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে, মা জামিলা খাতুন এখন একাই বসবাস করেন। স্টেডিয়ামে এক একটি উইকেট পড়লে তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে অন্য ছবি, এই বুঝি ছেলের উইকেটে মেতে উঠলো গ্যালারি।
পাকিস্তান দলের কোচ হয়ে খুলনায় এসে, ধারাভাষ্যকর হয়ে এসেছেন আগেও হোয়াটমোর রানার বাসায়, এবার এলেন জিম্বাবুয়ের কোচ হয়ে। দেখে গেলেন মানজারুল রানার নামে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের একটি গ্যালারির নামকরন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন