বগুড়া অফিস : বগুড়ার ধুনটে এক ইউপি সদস্যকে চাঁদা না দেয়ায় সিডিউল বর্হিভ‚তভাবে পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের চৌকিবাড়ী পূর্বপাড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণের জন্য ১ কিঃ মিঃ মাইলের বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে ওই গ্রামের ১৪১টি পরিবার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা পাবে। গত ২ মাস যাবত বগুড়ার মেসার্স এমএস ট্রেডার্সের মালিক ঠিকাদার মাসুদুর রহমান মাসুদ লাইন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী নকশা দেখে বিদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করার কথা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলামকে পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণে চাঁদা না দেয়ায় ঠিকাদারকে ম্যানেজ করে সিডিউল ও নকশা বর্হিভ‚তভাবে লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। যে দূরত্বে খুঁটি স্থাপন করার কথা সেই দূরত্বে না দিয়ে ওই ইউপি সদস্য ঠিকাদারের লোকজনকে দিয়ে ইচ্ছামতো লাইন নির্মাণ করছে। সিডিউল বর্হিভ‚তভাবে লাইন নির্মাণ করায় অনেক পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে ওই গ্রামের দিনমজুর জেল হোসেন জানান, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে ৬ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় বিদ্যুৎ খুঁটি সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র স্থাপন করেছে। নকশা অনুযায়ী খুটি স্থাপন করলে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ পেতাম। এছাড়া একটি মসজিদের খুঁটিও পরিবর্তন করেছে। ভ্যান চালক খুদি মিয়া বলেন, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বিদ্যুতের খুঁটি ও তার টানানোর কথা বলে ২ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে তাকে আরো ৪ হাজার দিতে হবে। একই গ্রামের হোসেন আলী বলেন, পল্লী বিদ্যুতের লোকজন এলাকা মাপার পর নকশা তৈরি করেছে। সেই নকশা অনুযায়ী খুঁটি স্থাপন করার কথা কিন্তু সেখানে না স্থাপন করে আমার ঘরের অঙ্গিনায় স্থাপন করেছে। এছাড়া বিদ্যুত দেয়ার কথা বলে সবার কাছ থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। কেউ চাঁদা না দিলে তাকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন