রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বাফুফের ইজিএম-এ সাংবাদিক উপেক্ষিত!

প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বন্দরনগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবনের কনফারেন্স রুমে চলছে বাফুফের বিশেষ সাধারণ সভা এবং কনফারেন্স রুমের বাইরে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়ানো ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে বাফুফের বিশেষ সাধারণ সভা হবে এমন এই সংবাদটি চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা কিছুই জানবে না তা কি করে হয়! তাই সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব নিয়ে খবর সংগ্রহ করার জন্য কনফারেন্স হলের বাইরে গতকাল দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েছিলেন। তবে এ দাঁড়ানো থাকাটাও ছিল কারো কারোর জন্য চক্ষুশূল। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ভিতরে গতকাল এ দৃশ্য ছিল একেবারেই বেমানান। বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে বেলা ১১টায় শুরু হওয়া বাফুফের বিশেষ সাধারণ সভা শেষ হয় দুপুর ১টায়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বিশেষ সাধারণ সভায় ডেলিগেট ছাড়া অন্য কারো প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকায় সাংবাদিকদের কনফারেন্স রুমের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। তাদের এ দাঁড়িয়ে থাকাটা কারো কারোর চক্ষুশূল হওয়ায় আয়োজকরা সাংবাদিকদের বসতে দেয়ার জন্য সৌজন্যবোধটা দেখাতেও বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন।
তারপরও প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে বিশেষ সাধারণ সভা শেষে প্রেস বিফিংয়ে চট্টগ্রামে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বাফুফে একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান। জেলা পর্যায়ে বাফুফে’র সভা করার সুযোগ আছে। এটি প্রত্যেক জায়গায় হতে পারে। এবার চট্টগ্রামে হলো। এ বিষয়ে ফেডারেশনের একাংশের আপত্তির বিষয়ে আ জ ম নাছির বলেন, ‘যারা ফুটবলের ভালো চান, তাদের উচিত ছিল ফোরামে এসে কথা বলা। কিন্তু তারা এটি না করে বাইরে আপত্তিকর কথা বলছে। এটাকে গণতান্ত্রিক আচরণ বলে না। এক মাস আগে প্রত্যেক প্রতিনিধিকে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তাদের লিখিতভাবে আপত্তি জানানোর সুযোগ ছিল।’
বাফুফের সহ-সভাপতি ও অর্থ-কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মোর্শেদী বলেছেন, ‘১৩০ জন ডেলিগেটের মধ্যে ১১৪ জন ছিলেন উপস্থিত। এছাড়া অনুপস্থিতির তালিকার মধ্যে ৬ জন তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে সাধারণ সভায় থাকতে পারবেন না বলে চিঠি দিয়েছেন এবং একজন রয়েছেন দেশের বাইরে। সুতরাং এ সকল ডেলিগেট ব্যতীত গুটিকয়েক ব্যক্তি বিশেষ সাধারণ সভা নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারা কাজটি ঠিক করেননি। বার্ষিক সাধারণ সভা হচ্ছে সকল সমস্যা সমাধানের আশ্রয়স্থল। তাই তাদের উচিত ছিল এখানে উপস্থিত থেকে সবকিছু পরিষ্কার করে বক্তব্য দেয়া। কিন্তু তারা সে সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি। তাই তাদের বিরুদ্ধে বার্ষিক সভায় নিন্দা প্রস্তাব নেয়া হয়েছে।’
বাদল রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের সব জায়গায় ফেডারেশনের সভা হতে পারে। কিছু লোক ফোরামের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বৈঠকে না এসে ঢাকায় বসে আপত্তিকর কথা বলছে। আমরা এটা নিয়ে সভায় আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে সভায় নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। যারা আপত্তিকর কথা বলেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ সম্পূর্ণ নীতি নৈতিকতার বিরুদ্ধে তারা এ কাজটি করেছেন। এটা বাফুফের কোড অব কনডাক্ট বিরোধী।’
পূর্বাহ্নে বেলা ১১টায় বিশেষ সাধারণ সভায় বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মোর্শেদী, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বক্তব্য রাখেন। আলোচ্যসূচির মধ্যে বাফুফের গত তিন বছরের (২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪) অডিটরস রিপোর্ট উপস্থাপন ও অনুমোদন, অডিটরস রিপোর্ট সম্পর্কে বাফুফের সদস্যগণকে প্রাপ্ত লিখিত মতামতের উপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত এবং ২ জন র‌্যাপোর্টিয়ার ও ২ জন স্ক্রটিনিয়ার নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন