শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

৭ খুন মামলার পিপির মেয়েকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:১৬ এএম


নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদ আলী খান খোকনের মেয়ে মায়েশা ওয়াজেদ প্রাপ্তিকে বিষমিশ্রিত মিষ্টি খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তাকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঢামেক হাসপাতালে পিপি ওয়াজেদ আলী খান অভিযোগ করে বলেন, ‘যারা সাত খুন মামলার রায়ে খুশি হননি তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমার মেয়েকে অপহরণ করতে চেয়েছিল।’ মায়েশার মামা আইনজীবী এস এম সাইফুল ইসলাম জানান, মায়েশা এ লেভেলের ছাত্রী।
মেয়ের বরাত দিয়ে বাবা ওয়াজেদ আলী জানান, ‘নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পাশে  তৌহিদ টিউটোরিয়াল কোচিং সেন্টার থেকে কোচিং শেষে মায়েশা বের হন। তখন সেখানে তার বাবার বয়সী তিন জন লোক আসেন। তারা সাত খুন মামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, তোমার বাবা ভালো কাজ করেছেন। তোমাকে তো মিষ্টি খাওয়ানো দরকার। তখন তাকে জোর করে মিষ্টি খাওয়ানো হয় এবং মুখে পানি ঢেলে দেয় তারা। মায়েশা দৌড়ে কোচিং সেন্টারে ঢুকে পড়ে। সে তার বাবাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। সে বলে, তারা গলা জ্বলছে। পরে স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাত সোয়া ৮টার দিকে নিয়ে আসে। ঢামেকে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মায়েশার পাকস্থলী ওয়াশ করেন। মায়েশার মা সেলিনা ওয়াজেদও হাসপাতালে উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মইনুল হক জানিয়েছেন, ‘আমরা ভিকটিমের স্বজনের কাছ থেকে জেনেছি মায়েশাকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে তদন্ত করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কের ১০৬ হাজী মঞ্জিলের চতুর্থ তলায় তৌহিদ টিউটোরিয়াল কোচিং সেন্টারে মায়েশা পড়তে গিয়েছিল। কোচিং শেষে নিচে নামলে তাকে তিন জন লোক তারা বাবার বন্ধু বলে পরিচয় দেয়। তারপর তাকে কিছু একটা খাইয়ে তারা চলে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, গতরাত পৌনে ১১টায় পরিবারের সঙ্গে বাসায় চলে গেছেন মায়েশা ওয়াজেদ প্রাপ্তি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
abdul kadir ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ৮:১৬ এএম says : 0
গঠানাটা কি সত্য নাকি সরজন্ত্র?
Total Reply(0)
আলি আকবর। ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ৯:০৬ এএম says : 0
অপরাধীদের চিন্হতকরে অবশ্যই সাস্তির আওতায় আনতে হবে।না হলে ওয়াজেদ সাহেবের মত সাহসি কাজ করতে কোন মানুষ আসবেনা।আর এতে করে অপরাধীরা অপরাধ করতেই থাকবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন