চট্টগ্রাম ব্যুরো : ফার্নিচার বানাতে কাঠে লাগানো রং আর ঘনচিনি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘মজাদার’ আইসক্রিম। নগরীর চান্দগাঁও থানার নূরনগর হাউজিং এলাকায় কোহিনূর আইস বারে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখতে পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। আইসক্রিমের নামে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপকরণ দিয়ে খাদ্যসামগ্রী তৈরির দায়ে ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে দু’টি আইসক্রিম কারখানা বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল (রোববার) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। রুহুল আমীন জানান, কোহিনূর আইস বার এ অভিযানকালে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ফার্নিচারের রং দিয়ে আইসক্রিম বানানো হচ্ছে। চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ঘনচিনি (মালিকের ভাষায় কেমিক্যাল) এবং স্যাকারিন। ওই কারখানায় আইসক্রিম বানানোর বিএসটিআই’র কোন সনদ নাই।
তিনি জানান, এ বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান, সিটি কর্পোরেশন থেকে বরফ বানানোর লাইসেন্স নিয়েছেন তারা। বরফ বানানোর লাইসেন্সে কি আইসক্রীম বানানো যায় এমন প্রশ্নের জবাবে মালিক জানান, এসব আইসক্রিমের জন্য বিএসটিআই লাইসেন্স দেয় না, কারণ এগুলো কম দামের জিনিস। বরফ বানানোর জন্য তো মৎস্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হয়, এ বিষয়েও তিনি কিছু জানতেন না বলে জানান। মালিক দাবি করেন, তিনি আগে আইসক্রিম বিক্রি করতেন, এখন নিজেই আইসক্রিম বানান।
অভিযানে একই এলাকার লাকি আইসবার এ অভিযান চালিয়ে একই ধরনের অনিয়ম পাওয়া যায়। তবে মালিককে না পাওয়ায় তা তালা মেরে বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় দুই হাজার পিস ক্ষতিকর রং ও কেমিক্যাল মেশানো আইসক্রিম ড্রেনে ফেলে ধ্বংস করা হয়। এসকল অনিয়মের জন্য কোহিনূর আইস বার কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাকি ও কোহিনুর আইসবার কে বিএসটিআই লাইসেন্স ছাড়া আইসক্রিম বানানোর অপরাধে বন্ধ করে দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন