উত্তর কোরিয়া বলেছে, সে অত্যাধুনিক হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করেছে যার রয়েছে মহা ধ্বংস ক্ষমতা। দেশটির নতুন আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএমে এটি বসানো যাবে বলেও রোববার খুব ভোরে জানায় রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ।
কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র গবেষণা ইন্সটিটিউট অত্যাধুনিক এ বোমা তৈরি করেছে। আর এর মাধ্যমে দেশটির পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আভাস দেয়া হলো বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়। ইন্সটিটিউট ঘুরে দেখার সময়ে নতুন অস্ত্র পরিদর্শন করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।
পিয়ংইয়ংয়ের তৈরি প্রথম হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা এটির উন্নয়ন করেছেন বলেও জানানো হয়। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র তৈরির কৌশলগত পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হয়েছে এটি।
কেসিএন আরো বলেছে, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ভিত্তিতে এ হাইড্রোজেন বোমার ক্ষমতা শত শত থেকে হাজার হাজার কিলোটন পর্যন্ত নির্ধারণ করা যাবে। উত্তর কোরিয়া শতভাগ নিজস্ব প্রযুক্তিতে এ বোমা তৈরি করেছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া, জানান হয়, নতুন তাপপরমাণু অস্ত্রের অতিমাত্রায় বিস্ফোরক ক্ষমতা রয়েছে।
গত জুলাইয়ে দুই দফা আইসিবিএম পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এ আইসিবিএম দিয়ে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডের একাধিক লক্ষ্যে আঘাত হানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পিয়ংইয়ং এ অস্ত্রের আকার ক্ষুদ্র করতে পেরেছে কিনা বা তার কাছে কার্যক্ষমতা সম্পন্ন হাইড্রোজেন বোমা আছে কিনা সে প্রশ্ন রয়েই গেছে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার এ ঘোষণা কোরীয় উপদ্বীপ ও যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান গভীর উদ্বেগ আরো বৃদ্ধি করবে যে দেশটি মার্কিন মূল ভূখণ্ডে পৌঁছতে পারে এমন আন্তঃ মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের আরো কাছে এগিয়ে গেল।
সিউলের আল জাজিরা সংবাদদাতা জানান, উত্তর কোরিয়ার এ নতুন দাবির সত্যতা যাচাই করা যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যদের পক্ষে একেবারে অসম্ভব।
অন্য খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত রোববার নতুন পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। ভূকম্পন জরিপ কর্তৃপক্ষ এদিন পিয়ংইয়ং-এর পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা স্থলের কাছে এক কৃত্রিম ভূমিকম্প রেকর্ড করার পর দক্ষিণ কোরিয়া এ কথা জানায়। মার্কিন জেওলজিক্যাল সার্বে জানায়, রোববার দুপুরে উত্তর কোরিয়ার উত্তরপূর্ব অঞ্চলে পুংগি-রি নামক তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা স্থলের কাছে ৬.৩ মাত্রার ভূকম্পন রেকর্ড করে। স্থানীয় খবরে বলা হয়, উত্তর চীনে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন