স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এবার শুরু থেকেই উজ্জ্বল পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে ইতোমধ্যে তারা পয়েন্ট টেবিলে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। তবে সপ্তম রাউন্ডে এসে জায়ান্ট কিলার খ্যাতরা অপেক্ষাকৃত দূর্বল ও পয়েন্ট টেবিলের তলানীর দল ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে হোঁচট খেয়েছে। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে থেকেও ফরাশগঞ্জ ১-১ গোলে ড্র করে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। এই ড্র’তে সাত ম্যাচে দুই জয়, তিন ড্র ও দুই হারে ৯ পয়েন্ট পেয়ে রহমতগঞ্জ আগের অবস্থান পঞ্চমস্থানেই রয়েছে। সমান ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র এবং পাঁচ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ফরাশগঞ্জের অবস্থান সেই তলানীতেই আছে। এবারের লিগে এখন পর্যন্ত ফরাশগঞ্জের একমাত্র জয়টি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে। দ্বিতীয় জয়ের দেখা তারা কালই পেতে পারতো। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিলো না বলেই পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি ফরাশগঞ্জ। সপ্তম রাউন্ডে এসে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে পারেনি রহমতগঞ্জ। ফলে কোন রকমে মান বেঁচেছে তাদের। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় ফরাশগঞ্জ। একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করে তারা। কিন্তু অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডের অভাবে গোলের দেখা পাচ্ছিলো না দলটি। অবশেষে আক্ষেপ ঘুচলো। গোল পেল ফরাশগঞ্জ। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ২১ মিনিটে বলের জোগান দেন ফরাশগঞ্জের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাথিও। বক্সে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন মিডফিল্ডার শামিম (১-০)। উল্লাসে ফেটে পড়ে ফরাশগঞ্জ শিবির। তবে ৩৯ মিনিটে ফয়সাল আহমেদের দূরপাল্লার শট ক্রসবারে লেগে গোলমুখে পড়ার পর শাফায়েত মুন্না বিপদমুক্ত করলে সমতায় ফিরতে পারেনি রহমতগঞ্জ। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা। তবে বিরতির পর ফরাশগঞ্জের উল্লাস মিইয়ে যায়। ম্যাচের ৫১ মিনিটে সমতায় ফিরে জায়ান্ট কিলাররা। এসময় কর্নার থেকে বক্সে বল পেয়ে হেড নেন রহমতগঞ্জের গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। পোস্টর খুব কাছে তার হেডের বল গ্রিপে নিতে পারেননি ফরাশগঞ্জ গোলরক্ষক অসীম দাস। মিডফিল্ডার ইলিয়াসের পায়ে বল গেলে তিনি শটে গোল করে সমতায় ফেরান রহমতগঞ্জকে (১-১)।