রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

দু’টি নতুন ব্যাংকের সুপারিশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থ মন্ত্রণালয় আরও দুইটি নতুন ব্যাংক অনুমোদনের প্রস্তাব করেছে। এই ব্যাংক দুইটি হচ্ছে- নড়াইলের মো. জসিম উদ্দিনের বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এবং নিউইয়র্ক প্রবাসী স›দ্বীপের এম এ কাশেমের পিপলস ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
এ জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনও দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এই মূহুর্তে দেশে আর কোনো নতুন ব্যাংকের প্রয়োজন নেই। আর যে প্রক্রিয়ায় এই ব্যাংক দুইটির অনুমোদন চাওয়া হচ্ছে তাতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে বলে বলা হয়েছে। সূত্র মতে, বর্তমানে দেশে ৬৩টি তফসিলি ব্যাংক রয়েছে। এই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণায় থেকে দেওয়া এক নোটিশে বলা হয়েছে, দুইটি বাণিজ্যিক ব্যাংক দেওয়ার প্রস্তাব করছি। অক্টোবর ২০১৩ সালে ১১টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে লাইসেন্স দেওয়া হয়। সেই সময়ে যেসব ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে গৃহীত হয় তার মধ্যে ভুল করে পিপলস ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডকে চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই এই ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। আর বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের লাইসেন্স দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে। কারণ ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির স্ত্রীর নামে তার পৈত্রিক বাড়িতে একটি দাতব্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সেই হাসপাতালের পুনঃপৌনিক ব্যয় নির্বাহের জন্য এই ব্যাংকটি তাদের সিএসআর কার্যক্রমের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তাই এই ব্যাংকটিরও লাইসেন্স দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১৩ সালে নতুন ব্যাংক অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হলে সংসদ ও সংসদের বাইরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত একাধিকবার বলেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকার বেসরকারি ব্যাংকের অনুমতি দিতে যাচ্ছে। জানা গেছে, নতুন দুইটি ব্যাংক অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া চিঠিও সুপারিশসহ বাংলাদেশ ভ্যাংকে পাঠায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের পর্যালোচনায় বলেছে, প্রস্তাবিত বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এবং পিপলস ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের আবেদনপত্র দুটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক পেয়েছে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এই আবেদনপত্র দুটির বিপরীতে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক গৃহীত কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠবে। যার ফলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষণণ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়াও, বর্তমানে তফসিলি ব্যাংকগুলির সার্বিক অবস্থা ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ মূহুর্তে ব্যাংক- কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নতুন কোনো কনভেনশনাল কিংবা শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।
উল্লেখ্য, ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৩১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দেশে নতুন ব্যাংক অনুমোদনের জন্য লাইসেন্স প্রদানের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের এখতিয়ারভুক্ত। নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েবসাইট ও পত্র-পত্রিকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরখাস্ত আহŸান করে থাকে এবং দাখিলকৃত আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসৃত প্রথার আলোকে পর্যালোচনা/বিশ্লেষণ করে পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে নিষ্পত্তি করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন