শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় পুলিশের নির্যাতনে বিশ্বজিৎ চন্দ্র দে (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ২ অক্টোবর সোমবার সকাল সাতটা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। নিহত যুবক পৌর শহরের মৃত বিধান সরকারের ছেলে। ওই যুবক পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে সহকারী উপ-পরিদর্শক ( এএসআই) আতিয়ার ও সুমনের নেতৃত্বে যুবক বিশ্বজিৎ দেকে গাঁজা পাওয়ার অভিযোগে আটক করে। পরে এলাকাবাসী এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে ওই যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া পর। এরপর যুবক বিশ্বজিৎ বাসায় যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে রহস্যজনক ভাবে মারা যায়। এর পর বিশ্বজিৎ কে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন ।
পরে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, যুবক বিশ্বজিৎকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে, সোমবার সকাল সাতটা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে যান চলাচল ও দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে পৌর মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে নিহত বিশ্বজিতের বোন শিউলি দে বলেন, আমার ভাইকে পুলিশ নিয়ে গিয়ে মারপিট করে ফিরিয়ে দিয়েছে। এবং সে মারা যায়। আমি আমার ভাইয়ের বিচার চাই।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফসিহুর রহমান বলেন, আমরা বিশ্বজিৎকে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করি। পরে স্থানীয়দের সুপারিশে ছেড়ে দেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন