শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আরো দূরে চোখ স্কেটিং ফেডারেশনের

লক্ষ্য টোকিও অলিম্পিকে পদক ষ আসছে জুনিয়র বিশ্বকাপ

| প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার 

চতুর্থ রোলবল বিশ্বকাপের সফল আয়োজন শেষে এখন আলোচনায় বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। যে কারণে আরেকটি বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছে তারা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তাদের লক্ষ্য ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার এ আসরে পদক জয় করতে চায় লাল-সবুজরা। এ লক্ষ্য ধরেই এগুচ্ছে বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশন।
চলতি বছরের শুরুতে রোলবল বিশ্বকাপের চতুর্থ আসর বসেছিলো ঢাকায়। আসরটির সফল সমাপ্তির জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক রোলবল ফেডারেশনের বাহবা পেয়েছে বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। সঙ্গে তাদের উপর ভার পড়েছে জুনিয়র রোলবল বিশ্বকাপ আয়োজনের। আন্তর্জাতিক রোলবল ফেডারেশনের আগ্রহেই আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জুনিয়র রোলবল বিশ্বকাপ। এছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি অত্যাধুনিক ব্যাংকড ট্র্যাক নির্মান করে দেবে দেশের বৃহৎ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ওরিয়ান গ্রæপ। গতকাল বিকালে নব-নির্মিত শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সমন্বয়ক ও রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এ সময় ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ওরিয়ন গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান ওবায়দুল করিম, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসান, নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদসহ ফেডারেশনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে ঢাকায় অনুৃষ্ঠিত হয় চতুর্থ রোলবল বিশ্বকাপ। যে আসরে ৩৯ দেশের প্রায় ছয়শ’ স্কেটার অংশ নেন। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চতুর্থস্থান পেলেও সফল আয়োজনে ছিলো প্রথমস্থানে। সে ধারাবাহিকতায় জুনিয়র বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। আর এসব আয়োজনের নেপথ্যে মূলত অলিম্পিকে পদক জয়ের স্বপ্নই কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালমান ওবায়দুল করিম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য টোকিও অলিম্পিকে পদক জেতা। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আসলে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স থাকলেও আমাদের কার্ভ স্কেটিং ট্র্যাক নেই। তাই ভালুকায় ওরিয়ন গ্রæপের অর্থায়নে প্রায় শ’খানেক স্কেটারের আবাসিক সুবিধাসহ একটি স্টেডিয়াম নির্মান করবো আমরা। যেখানে অনুশীলনের মাধ্যমে আমাদের সেই পদক জয়ের স্বপ্নকে পূরন করবে।’ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দক্ষতা দেখিয়ে আমরা বড়দের বিশ্বকাপ শেষ করেছি। সেই দক্ষতা দেখেই এবার জুনিয়র বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য দায়িত্ব পেয়েছি আমরা। এটাও সফলভাবে শেষ করতে চাই।’ তিনি যোগ করেন,‘আমাদের লক্ষ্য টোকিও অলিম্পিকে পদক জেতা। সে লক্ষ্যেই আমরা এবার জেলা ও বিভাগে প্রতিভা অন্বেষনে মনোযোগ দিয়েছি। প্রত্যেকটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা, শহরের স্কুল ও স্পোর্টস ক্লাবের মাধ্যমে খেলোয়াড় সংগ্রহ করা হবে। এদের নিয়েই চলে প্রশিক্ষণ। পরে সেই প্রশিক্ষণ শেষে একটি বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২৫ জন করে ছেলে ও মেয়েকে বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হবে। সেখান থেকে ইয়েস কার্ডের মাধ্যমে ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বের জন্য আসবে ১০ জন করে ছেলে ও মেয়ে। চূড়ান্তভাবে বাছাইকৃতদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এভাবেই আমরা অলিম্পিকের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করবো।’
সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসানের কথা, ‘ভালুকায় নির্মিতব্য স্টেডিয়ামে একটি চারতলা ভবন তৈরী করা হবে। যেখানে একশ’জন পুরুষ ও মহিলা ক্রীড়াবিদ থাকবেন। সেখানে তাদের লেখাপড়া, আন্তর্জাতিক মানের থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা থাকবে। স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক মানের জিম, ২০০ মিটারের ব্যাংকড ট্র্যাক, একটি ৫০০ মিটারের রোড ট্র্যাক, কনফারেন্স রুম, ডাইনিং রুম, ভিভিআইপিদের বসার সু-ব্যবস্থা, স্টেডিয়ামের অন্যদিকে থাকবে দর্শকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের গ্যালারি এবং ফ্লাডলাইটেরও ব্যবস্থা থাকবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন