শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজনীতি

দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৭, ১:৩২ পিএম | আপডেট : ৩:০৬ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭

পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার দুটি আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫–এর বিচারক আখতারুজ্জামান ও ঢাকার মহানগর হাকিম নুর নবী গ্রেপ্তারি এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র বলছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ খালেদা জিয়ার হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশেষ জজ আদালত-৫–এর বিচারক আখতারুজ্জামান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টসংক্রান্ত মামলার বিচারকাজ চলছে। এ দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আর ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়াসহ চারজন।
খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশের ব্যাপারে খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আদালতে অনুপস্থিত থাকায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মানচিত্র ও জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগে ২০১৬ সালে করা মানহানির এক মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার মহানগর হাকিম নুর নবী।
মামলার বাদী এ বি সিদ্দিক বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ অক্টোবর হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিনও তিনি আদালতে হাজির হননি। আজ আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে এই মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত তেজগাঁও থানার পুলিশকে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। ২২ মার্চ ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে জিয়াউর রহমান তাঁকে হুমকি দেন এবং অবরুদ্ধ করে রাখেন। ২০০১ সালে জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে জোট করে বিএনপি সরকার গঠন করেন। খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর নেতা-কর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তাদের বাড়িতে এবং গাড়িতে তুলে দিয়েছেন, যার দ্বারা মুক্তিযুদ্ধ ও মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকাকে অপমানিত করা হয়েছে।
এর আগে বাসে পেট্রলবোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগের করা মামলায় চলতি মাসের ৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপার্সনসহ দলটির ৭৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Hira ১২ অক্টোবর, ২০১৭, ৪:৫২ পিএম says : 0
I hope country should follow peaceful way to maintain law and order with great respect by the peoples and for the peoples of Bangladesh.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন