শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মমতার ফর্মুলায় রাহুলের জোট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে কার্যত অলিখিত জোট গড়ে ফেললেন ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহারাষ্ট্রের শরদ পাওয়ার, কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ভোটের আগে নূন্যতম কর্মসূচি তৈরি করে মাঠে নামবে বিরোধীরা।
রাহুল গান্ধীকে পাশে নিয়ে মমতা বলেছেন, বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলে খসড়া তৈরি করবেন কংগ্রেস সভাপতি। বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী যুদ্ধে নামার আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী নেতাদের পাশে নিয়ে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন মুখমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাহুল বলেছেন, ‘দেশ বাঁচাতে বিজেপিকে হঠাতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’ মমতা এ দিন বলেছেন, ‘সেভ ইন্ডিয়া আমাদের স্লোগান। ভোটের পরে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য আগেই জোট হবে। কর্মসূচি পরে।’ বিরোধী জোটের নাম কী হবে? এসব নিয়েই আবার বৈঠক এ মাসের শেষ সপ্তাহে।
বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত মমতা-পাওয়ার-নাইডুদের মিটিং চলে। পরে বৃহস্পতিবার ফের কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠকে বসে শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি। ঠিক হয়েছে, ৪৭টি আসনের মহারাষ্ট্রে ২০টি করে আসনে লড়াই করবে উভয় দল। বাকি সাতটিতে অন্য শরিকরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আসলে ভারতের সর্বাধিক প্রাচীন দল কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে, একক শক্তিতে কোনোমতেই দিল্লির ক্ষমতায় ফিরে আসা সম্ভব নয়। ৫৪৪ আসনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের আঞ্চলিক দলের সহযোগিতা যে জরুরি, তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দল পুর্নগঠনে নেমেছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী। সেই লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের সঙ্গে একের পর এক ম্যারাথন বৈঠক করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তরপ্রদেশে ১১টি আসনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ১৫ ঘণ্টার বৈঠকে বসেন প্রদেশটির ৪১টি আসনের দায়িত্ব পাওয়া প্রিয়াংকা। এই বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘুদের আঞ্চলিক দল মোহন দলের সঙ্গে জোট ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালেও দলটির প্রধান কেশব দেব মৌর্য কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এ ম্যারাথন বৈঠকে নেতাকর্মীদের ক্ষুৎপিপাসা লাগাই স্বাভাবিক। আবার হাজার হাজার নেতাকর্মীর খাবার জোগান দেয়াও এই মুহূর্তে দলের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ক্ষুৎপিপাসা মেটাতে লখনৌর বেশ কিছু নেতাকর্মী বাড়ি থেকেই ‘হালকা খাবার’ নিয়ে এসেছিলেন। এসব নেতাকর্মীর বক্তব্য, আগের দিন তাদের অনেককেই না খেয়ে থাকতে হয়েছিল। সেখান থেকেই শিক্ষা পেয়েছেন তারা। তাই পরদিন তারা সঙ্গে করে খাবার বেঁধে নিয়ে এসেছেন।
শিগগিরই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর সেটা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটের ধরমপুরের উপজাতীয় গ্রাম লাল দুংরি গ্রাম থেকে। এর কারণ এই গ্রাম থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতেন তার দাদি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু কন্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, বাবা রাজীব গান্ধী, এমনকি মা সোনিয়া গান্ধীও। সূত্র: এনডিটিভি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন