রাজধানীর ভাষাণটেকের তিন নম্বর এলাকার বস্তির সব ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। এ সময় দামালকোর্ট, কাজলেরটেক, নিরব রোড ও সৌখিন রোডে প্রায় ১০ হাজার ঘর উচ্ছেদ করা হয়। গতকাল সকাল ৮টা থেকে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে। এদিকে, উচ্ছেদের সাথে সাথেই উদ্ধার হওয়া জায়গা রক্ষায় বাঁশ ও টিন দিয়ে বেড়া দেয়া শুরু করে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সহকারি পরিদর্শক আহসান হাবীব বলেন, বস্তি উচ্ছেদের পাশাপাশি আমরা বেড়াও নির্মাণ করছি। এজন্য প্রায় ৩শ’ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বস্তি উচ্ছেদের সময় প্রায় ৫ শর মতো পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে ফায়ার সার্ভিস, আনসার, বিদ্যুৎ বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থা সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।
অভিযানকালে বস্তির থাকার ঘর ছাড়াও কাঠের দোকান, টিনের দোকান, ফার্মেসি, খাবারের দোকান, মুদি দোকানসহ নানা ধরণের প্রায় ৫ শ’র মতো দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। কয়েকজন দোকানী বলেন, তাড়াহুড়ো করে যতটুকু সম্ভব মালপত্র সরানো গেছে। বাকী মালামাল বুলডোজারের পিষ্ঠ হয়ে গেছে।
আকলিমা বেগম নামে এক নারী বলেন, ১৫ বছর ধরে এই বস্তিতে আছেন। তাই ভাঙার কথা শুনলেও বিশ্বাস হয়নি। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে বাড়ি ঘর ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেলে স্বামী-সন্তানদের নিয়ে এই বস্তিতে আসেন। এখন আর কোথাও মাথা গোজার ঠায় থাকলো না।
ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান বলেন, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার পুলিশ তাদের আজকের (গতকাল) উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছিল। তিনি বলেন, আনুমানিক ১০ হাজার পরিবার ২০ বছর ধরে জয়গাটি দখল করে আছে। এখানে এক কিলোমিটারের মতো জায়গা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন