শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলা বিএনপির সাজানো নাটক -মোহাম্মদ নাসিম

রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে বাম নেতাদের সমাজতন্ত্র কায়েমের অঙ্গীকার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলা বিএনপির সাজানো নাটক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা তাদেরই সাজানো নাটক। ওই নাটকের তদন্ত চলছে, অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণ কিংবা সমবেদনা জানাতে যাননি। রোহিঙ্গাদের অবলম্বন করে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়েছেন। শো-ডাউন করে লোক দেখাতে গিয়েছেন। আাগামী নির্বাচনই বলে দেবে কার কত লোক আছে। তিনি মূলত পথে নাটক করেছেন, হামলার নাটক সাজিয়েছেন।
নাসিম বলেন, তিনি যদি রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতা করতে যেতেন তাহলে বিমানেই যেতে পারতেন। প্রায় তিন মাস পর সেজে-গুজে কোটি টাকা খরচ করে, সারি সারি গাড়ি নিয়ে যেতেন না। পেট্রোল খরচ আর সাজ গোজে যে টাকা খরচ করা হয়েছে সেই টাকা দিয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করতে পারতেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে গিয়েও ওখানে তিনি মিথ্যাচার করে বলেছেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ রোহিঙ্গাদের জন্য কিছুই করেননি। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এতবড় মিথ্যাচার কী করে করতে পারলেন? এ মিথ্যাচারের জবাব দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে দেবে।
মোহাম্মদ আরও নাসিম বলেন, খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা তাদেরই সাজানো নাটক। ওই নাটকের তদন্ত চলছে। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
সাম্যবাদী দলের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জঙ্গি ও দেশ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েমের অঙ্গিকার করেন বাম রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাম্যবাদী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টিার সভাপতি রাশেদ খান মেনন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহŸায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম, জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নূরুল আম্বিয়াসহ বাম রাজনৈতিক দলের নেতারা।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্কার্স পার্টিার সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে এই উপমহাদেশে দীর্ঘ দিন আগে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারায় সাম্যবাদী দলের যাত্রা। লেনিনের মতাদর্শে এ দেশে মানুষ জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লেখা সংবিধানের চারটি মূলনীতির একটি হলো সমাজতন্ত্র। যা আমরা নিজেরা লিখে তা আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নিজেরা লিখে তা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি নাই। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে সামনে আরো কঠিন সময় আসবে।
সা¤প্রদায়িক শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দিলে সামনে বিপদ আছে দাবি করে মেনন বলেন, বাংলাদেশে ৩ কোটি মানুষ এখনও দরিদ্র। অনেক মানুষ হতদরিদ্র। শুধু উন্নয়ন নয়, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ, জামায়াত-শিবিরকে উৎখাত করতে না পারলে, তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হতে না পারলে সামনে আরও কঠিন সময় আসবে।
সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়ে জাসদের একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হচ্ছে সমাজতন্ত্র। আমরা সমাজতন্ত্রের পক্ষে। সমাজতন্ত্রের বিপক্ষে শাসক ও শোষণকারীরা। সমাজতন্ত্র ছাড়া জীবন চলে না। সংবিধানে ৪ নীতির মধ্যে সমাজতন্ত্র একটি। ৭৫ এর পর সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র নীতিটি কেটে ফেলা হয়।
ইনু বলেন, এখন সংবিধানে সমাজতন্ত্রসহ ৪ নীতি রয়েছে। আমি বলব, প্রধানমন্ত্রী আপনি সংবিধানের পাতা থেকে সমাজতন্ত্রকে জীবনের পাতায় আনেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ৪ নীতির মধ্যে সমাজতন্ত্রী নীতিটি অন্যতম। তিনি বলেন, দেশ থেকে যে করেই হোক তেতুল হুজুর, জঙ্গি-সন্ত্রাসী, জামায়াত ও তাদের পোষণকারীদের চিরতরে উচ্ছেদ করতে হবে।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া সভাপতির বক্তব্যে বলেন, রাজনৈতিক আলোচনা করতে গেলে সমাজতন্ত্র দলগুলোকে ডাকতে হবে। এখন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়। মার্কা ছাড়া অনেক বড় বড় দল নির্বাচনে হারবে। আমরা ১৪ দলের সঙ্গে আছি, থাকবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন