দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেছেন, যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিচার বিভাগের প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে - যেখানে আইনের শাসনের পতন হয়, সেখানেই স্বৈরাচারের উত্থান হয়। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের উপর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে বার (আইনজীবী সমিতি) কাউন্সিলের ভূমিকাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একটি শক্তিশালী ও সহযোগিতামূলক বার নিঃসন্দেহে বেঞ্চের (কোর্ট) কার্যকর বন্ধু। শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে নবীন আইনজীবীদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের বিভিন্ন আদালতে ৩০ লক্ষাধিক মোকদ্দমা শুনানি ও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিশাল কর্মযজ্ঞের তুলনায় বিচার বিভাগে কর্মশক্তি খুবই অপ্রতুল। এটা সুস্পষ্ট যে দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার অনুপাতে বিচারকদের সংখ্যা অনেক কম। তা সত্ত্বেও ঝুলে থাকা মামলাগুলো অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। কারণ, বিচারপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করেছেন। ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল অন্তর্ভুক্তি পাওয়া নতুন আইনজীবীদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহবুবে আলম, কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল মতিন খসরু, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান শ ম রেজাউল করিম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন