যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে বেকায়দায় থাকা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এবার একই অভিযোগ আনলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এই অভিযোগকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে থেরেসা মে’র সর্বোচ্চ কড়া আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মে দাবি করেছেন, ইউরোপজুড়ে সাইবার হামলা চালিয়ে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে মস্কো। নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য লন্ডনে আয়োজিত এক ভোজসভায় দেওয়া বক্তব্যে থেরেসা মে অভিযোগ করেন, ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার বিশ্বের মুক্ত সমাজকে অবমূল্যায়ন করার চেষ্টা করছে... ভুয়া খবর তৈরি করে পশ্চিমা দুনিয়ায় মতবিভেদ সৃষ্টি করছে। একই সময়ে মে বলেন, তারা যেহেতু রাশিয়ার সঙ্গে স্থায়ী সংঘাত চান না, সেহেতু তারা তাদের স্বার্থ রক্ষার ব্যবস্থা করবে। থেরেসা মে’র এই অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পূর্ণ বিপরীত। গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তার কথায় তিনি বিশ্বাস করেন। লন্ডনের ম্যানসন হাউসের ভোজসভায় পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে থেরেসা মে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি এটি সহজ বার্তা। স¤প্রতিক বছরগুলোতে আমরা তাকে যে পথে চলতে দেখছি- ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে ছিনিয়ে নিয়ে ইউক্রেনে সংঘর্ষ ছড়িয়ে দেওয়া, ইউরোপজুড়ে সরকার ও পার্লামেন্টগুলোতে সাইবার হামলা চালানো- এই পথ থেকে সরে অবশ্যই তাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথ বেছে নিতে হবে। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের জন্য রাশিয়া খুবই ভালো অংশীদার হতে পারে, যদি তারা আইনের শাসন মেনে চলে। মে অভিযোগ করেন, ‘কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের আকাশসীমা বারবার লঙ্ঘন করেছে রাশিয়া এবং সাইবার চরবৃত্তি ও ভাঙন সৃষ্টি করতে অভিযান চালিয়েছে।’ রাশিয়াকে সতর্ক করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি, আপনারা কী করছেন কিন্তু সফল হতে পারবেন না। কারণ, আপনারা আমাদের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা, স্বাধীন ও মুক্ত সমাজের প্রতি মানুষের আকর্ষণ এবং যে জোট আমাদের একতাবদ্ধ রেখেছে, সেসবে আক্রমণ করছেন।’ বিবিসি অনলাইন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন