বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

ফিউচার এগ্রি কনটেস্টে চ্যাম্পিয়ন বাকৃবির ‘গোল্ডেন সিড’

প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

৬টি বিভিন্ন কৃষি বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসিআই কম্পানির প্রযোজনায় ব্যবসা পরিকল্পনার উপর প্রতিযোগিতা ‘ফিউচার এগ্রি এন্টারপ্রেনার কনটেস্ট ২০১৫’ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তন্ময় কুমার ঘোষ, আসাদুজ্জামান আসিফ ও জাকিয়া ফেরদৌস এর ‘গোল্ডেন সিড’। তন্ময় ও জাকিয়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের তয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং আসিফ ভেটেরিনারি অনুষদের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
‘ফিউচার এগ্রি এন্টারপ্রেনার কনটেস্ট ২০১৫’-এর সহযোগিতায় যুক্ত ছিল ‘ক্যাটালিস্ট’ এবং ‘কনসিগলেইরি’ কম্পানি। এছাড়াও সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউকে, ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ড অ্যামব্যাসি।
গত রবিবার তেজগাঁও শিল্প এলাকা এসিআই কম্পানি কেন্দ্রে ‘ফিউচার এগ্রি এন্টারপ্রেনার কনটেস্ট ২০১৫’-এর ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্লানিং কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি)-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. পাউল ফক্স।
প্রতিযোগিতায় ৩টি ধাপ পেরিয়ে ১৫টি টিমের মধ্যে ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করে ৫টি টিম। এরা হচ্ছে- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গোল্ডেন সিড’ ও ‘স্বপ্ন বাজ’, শেরে-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্রিন এগ্রি ড্রিম’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হেটেরোসিস’ এবং আন্তর্জাতিক কৃষি ব্যবসা ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অবটিনেট’। নতুন ধারণা, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনার মাধ্যমে ৫ টিমের মধ্যে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তন্ময়, আসিফ ও জাকিয়ার ‘গোল্ডেন সিড’। অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ন টিম ‘গোল্ডেন সিড’-এর সদস্য তন্ময়, আসিফ ও জাকিয়ার হাতে ১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।
প্রথম রানার্সআপ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহেদী হাসান রাতুল, মোশারফ লাভিন ও এমএম মাহবুব আলমের ‘স্বপ্ন বাজ’ টিমকে দেয়া হয় ৫০ হাজার টাকার চেক এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ শেরে-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্রিন এগ্রি ড্রিম’ টিমকে দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকার চেক।
‘ফিউচার এগ্রি এন্টারপ্রেনার কনটেস্ট ২০১৫’ এ চ্যাম্পিয়ন টিমের তন্ময় জানান, আমরা ফাইনাল রাউন্ডে মাছের বর্জ্য থেকে ফিস ওয়েল, বায়োডিজেল ও সার হিসেবে ফিস অ্যামাইনো এসিড নিয়ে নতুন পরিকল্পনার বিষয় উপস্থাপন করি। যা ভবিষ্যতে জ্বালানির বিকল্প ও কৃষির উর্বরতায় সার হিসেবে কাজ করবে। নিজেদের সফলতার পেছনে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের শিক্ষক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তন্ময়।
আসিফ জানান, চ্যাম্পিয়ন হবার পেছনে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা, বাবা-মা ও বন্ধুরা অনেক বেশি সহযোগিতা করেছে। সকলের সহযোগিতা আর আমাদের টিমের কঠোর পরিশ্রম আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছে।
এদিকে ‘ফিউচার এগ্রি এন্টারপ্রেনার কনটেস্ট ২০১৫’ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তন্ময়, আসিফ ও জাকিয়াকে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
ষ মো. আব্দুর রহমান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন