আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির জন্য স্বৈরাচারের সঙ্গে জোট করতে হয়েছে। বিএনপি যদি দশম সংসদ নির্বাচনে আসতো আমরাও স্বৈরাচার এরশাদের জোট করতাম না। বিএনপি যদি জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে, তাহলে আমরাও স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গ ত্যাগ করবো জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের জোট কৌশলগত।
গতকাল সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে শহীদ ডা. মিলনের কবরের সামনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। শহীদ ডা. মিলনের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বৈরশাসকের এরশাদের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ডা. মিলন। তাঁর রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতিবেগ সঞ্চার হয় এবং ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র নয়, বিএনপির রাজনীতি আজ গভীর খাদের কিনারায়। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন অস্ত্রের ভাষায় কথা বলছে। খালেদা জিয়া মাঠের রাজনীতি ছেড়ে অস্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, ৫ জানুয়ারি নাকি গণতন্ত্রের জন্য কলঙ্কের দিন। আমি বলতে চাই, বিএনপি যে রাস্তায় পেট্রলবোমার তান্ডব চালিয়েছে, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, সেগুলো তাদের জন্য জায়েজ হয়ে গেছে নাকি? তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এবং তার দল রাজাকারদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে আওয়ামী লীগ স্বৈরচারের সাথে জোট বেধেছে । বিএনপি যদি গত সংসদ নির্বাচনে আসতো তাহলে তাদের আজ এই অবস্থা হতো না । কেউ যদি নির্বাচনে না আসে তবে সে দোষ কার? সেই দায়ভার কার? নির্বাচনের ট্রেন তো আর কারো জন্য থেমে থাকে না । তারা সেই ট্রেন মিস করেছে । মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অগণতান্ত্রিক কথা বলে না, অগণতান্ত্রিক আচরণও করে না । বরং বিএনপি সব দিক থেকে এখন ব্যর্থ হয়ে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলছে । তারা হাতুরি পিটিয়ে নিজেদের ঢোল বাজানোর চেষ্টা করছে। নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণ-আন্দোলনে শহীদ মিলনের স্মৃতিচারণা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডা. মিলন হচ্ছেন গণতন্ত্রের প্রতীক। দিন দিন গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন তিনি। বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, শহীদ ডা. মিলনের মা সেলিনা আক্তার প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন