অবশেষে অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্স পাঠিয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান। প্রবীণ এক আইনজীবীর মাধ্যমে আজ সোমবার তিনি অপুর কাছে ডিভোর্স লেটার পাঠান বলে জানিয়েছে তার পারিবারিক সূত্র।
শাকিব-অপুর ডিভোর্স নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিলো চলচ্চিত্র অঙ্গনে। ডিভোর্স লেটার পাঠানোর মাধ্যমে তার অবসান ঘটলো বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কোনো পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়নি। এদিকে শাকিব খান বর্তমানে শ্যুটিংয়ের কাজে ভারতে রয়েছেন।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় দুই মুখ শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। অপু এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। তাদের একটি ছেলেও আছে। সাক্ষাতকারে ছেলেও উপস্থিত ছিল। তার নাম আব্রাহাম খান জয়। এই বিস্ফোরক তথ্যের পরই মূলত বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। শাকিব খান স্বীকার করেন। তবে টানাপোড়েন চলছিলই। যার রেশ তালাক পর্যন্ত যেতে পারে বলেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-এফডিসি পড়ার অনেকে বলেছেন।
অপুর ভাষ্য ছিল, মূলত বিয়ের পর শাকিবের বাসায় বেশিরভাগ সময় থাকতেন তিনি। তবে অনেকটা লুকোচুরি করে। মাঝে মাঝে শ্যুটিং শেষে নিজের বাসায়ও চলে যেতেন। সন্তান নেওয়া ও সম্পর্কের তথ্য প্রকাশ্য করতে চাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে শাকিবের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে কলকাতার একটি হাসপাতালে নিজে বন্ডে সাইন দেওয়ার পর সিজার হয় অপুর। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের ঘরে ছেলে সন্তান আব্রাহাম খান জয় আসে। তারপরও শাকিব এ খবর অপুকে গোপন রাখতে বলেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, দু’জনের ক্যারিয়ারের স্বার্থের কথা। বর্তমানে শরীরের ওজন কমানোর জন্য বনানীর একটি ব্যায়ামাগারে নিয়মিত সময় দিচ্ছেন অপু।
বগুড়ার মেয়ে অপু ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ২০০৬ সালে পরিচালক এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেন। ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তারা টানা ৭০টির মতো ছবিতে জুটি বাঁধেন। আধুনিক বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি বলা হয় তাদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন